Hooghly: ৩০ বছরেও শেষ হয়নি চন্দননগর ইন্ডোর স্টেডিয়ামের কাজ, পুরভোটের মুখে রাজনৈতিক চাপানউতোর
Hooghly News: ৩০ বছরে ধরে অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে চন্দননগর ইন্ডোর স্টেডিয়াম। দখল হয়ে যাচ্ছে স্টেডিয়ামের জায়গা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকা পরিণত হচ্ছে দুষ্কৃতীদের আখড়ায়।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দননগর: ৩০ বছর ধরে অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে চন্দননগর ইন্ডোর স্টেডিয়াম। দখল হয়ে যাচ্ছে স্টেডিয়ামের জায়গা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকা পরিণত হচ্ছে দুষ্কৃতীদের আখড়ায়। যা নিয়ে পুরভোটের মুখে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
পিলারের কাজ শেষ হলেও হয়নি ছাদ ঢালাই। গ্যালারির নিচের অংশ ভরে গেছে ঝোপঝাড়ে। মাঠের ইতিউতি আবর্জনার স্তূপ। অভিযোগ, অবৈধভাবে অনেকে বসবাসওকরছেন। চলছে বেআইনি গাড়ির গ্যারাজ। এই ছবি নির্মীয়মাণ চন্দননগর ইন্ডোর স্টেডিয়ামের। গত ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে যে স্টেডিয়ামের কাজ মাঝপথেই থমকে আছে। আসন্ন পুরভোটের আগে যা নিয়ে সরগরম ফরাসডাঙার রাজনীতি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে ওই স্টেডিয়াম চত্বর। সন্ধে হলেই বসে মদের আসর। চুরি যাচ্ছে স্টেডিয়ামের নির্মাণ সামগ্রী।
স্থানীয় বাসিন্দা সুশান্ত পালের অভিযোগ, ‘এখন এখানে দুষ্কৃতীদের আখড়া হয়ে গেছে। মাঝে মাঝেই পুলিশ আসে, ধরে নিয়ে যায়।’
বাম সরকারের আমলে ১৯৯১ সালে চন্দননগর ইন্ডোর স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সাংসদ তহবিলের টাকায় বাম পুরবোর্ড কাজ শুরু করলেও, তা শেষ হয়নি। পরবর্তীকালে পুরবোর্ড গঠনের পর ফের স্টেডিয়াম তৈরির কাজ শেষ করতে উদ্যোগী হয় তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এখনও কাজ শেষ হয়নি। আর এই নিয়েই পুরভোটের মুখে রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।
চন্দননগর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী শোভনলাল সেনগুপ্তর কটাক্ষ, ‘সরকার চাইছে না ইন্ডোর স্টেডিয়াম হোক। এই সরকার ক্লাবকে পয়সা দেয়। কিন্তু খেলার মাঠ তৈরির দিকে নজর নেই।’
চন্দনগরের বিজেপি আহ্বায়ক তন্ময় দে বলেছেন, ‘বাম ও তৃণমূল কেউই এই মাঠ তৈরি করতে পারেনি। আমরা ক্ষমতায় এলে মানুষের স্বার্থে এই মাঠ তৈরি করব।’
যদিও অর্থের অভাবেই স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ শেষ করা যায়নি বলে জানিয়েছে শাসক দল তৃণমূল। চন্দননগর পুরসভার বিদায়ী প্রশাসক ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রাম চক্রবর্তীর দাবি, ‘আমরা ক্ষমতায় আসার পর কাজ শুরু করেছিলাম। কাজ শেষ করতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন সেটা ছিল না। সেই কারণে কাজ আটকে আছে। ফের বোর্ড গঠন হলে কাজ শেষ করব।’