Hooghly: এখনও ফেরেনি হুঁশ, রিষড়া-শ্রীরামপুরে লাইটপোস্ট থেকে বিপজ্জনক অবস্থায় ঝুলছে বিদ্যুতের তার
দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন...
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, রিষড়া ও শ্রীরামপুর: জমা জলে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যুর পরেও ফিরছে না হুঁশ। হুগলির রিষড়া-শ্রীরামপুর এলাকায় এখনও লাইটপোস্ট থেকে বিপজ্জনক অবস্থায় ঝুলছে বিদ্যুতের তার।
দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে প্রচার চালাচ্ছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা।
গত সপ্তাহেই বৃষ্টির জমা জলের মধ্যে ঘটে গেছে মর্মান্তিক ঘটনা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একের পর এক সহনাগরিকের মৃত্যু বাড়িয়েছে আতঙ্ক। অকালে একের পর এক প্রাণ চলে গেলেও, হুঁশ ফেরেনি এখনও।
শ্রীরামপুর, রিষড়া সহ হুগলির বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় বের হলেই চোখে পড়ছে এই ছবি। কোথাও ইলেকট্রিক পোস্টের বাক্সের ভিতর থেকে বিপজ্জনকভাবে ঝুলছে তার।
কোথাও আবার ছেঁড়া তার ঝুলছে রাস্তার মাঝপথেই, অসাবধানতায় যেকোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। বিষড়ার এক বাসিন্দা বললেন, আবার বৃষ্টি আসছে, জল জমবে। পরিবার নিয়ে রাস্তায় বেরোতে এখন আতঙ্কে থাকছি। কখন কী হয়। আবার শ্রীরামপুরের এক বাসিন্দা বললেন, আতঙ্কে আছি। বাড়ি থেকে বেরোতে গেলেই এই তারগুলো দেখতে পাই। ভয় লাগে।
যদিও প্রশাসনের তরফে দাবি করা হচ্ছে, দুর্ঘটনা রুখতে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। শ্রীরামপুরের মহকুমা শাসক সম্রাট চক্রবর্তী বললেন, আমার চোখেও এই ধরণের বিপজ্জনক অবস্থায় তার খোলার ঘটনা চোখে পড়েছে। আমি পুরসভা ও বিদ্যুৎ দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করছি।
রিষড়া পুরসভার উপ-প্রশাসক জাহিদ হাসান খান বলেন, আমরা সিইএসসি-র ইঞ্জিনিয়ারদের চিঠি দিয়েছি এগুলো সারানোর জন্য। পুরসভার যেখানে খোলা তার রয়েছে সেগুলোও সারানো হচ্ছে।
পাশাপাশি জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা এড়াতে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা এলাকায় রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তরফে এলাকায় এলাকায় চলছে প্রচার।
আরও পড়ুন: খড়দায় ঘরের মধ্যে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু একই পরিবারের তিনজনের
আরও পড়ুন: খড়দার পর দমদম, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২ কিশোরীর মৃত্যু