Hooghly: বলাগড় থানার পাঁচিল ধসে মৃত্যু এক শ্রমিকের, আহত আরও তিন
বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতির ঠিকা শ্রমিকরা ড্রেন তৈরির কাজ করছিলেন।সেই সময় থানার সীমানা পাঁচিল ধসে পরে।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, বলাগড় (হুগলি): হুগলির বলাগড় থানার পাঁচিল ধসে পড়ল। এই দুর্ঘটনায় দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল একজনের। আহত হয়েছেন তিন জন। আহতদের জিরাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় একজনকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।মৃতের নাম সুকুমার দাস (বায়েন) । তাঁর বয়স ৩৬।
বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতির ঠিকা শ্রমিকরা ড্রেন তৈরির কাজ করছিলেন।সেই সময় থানার সীমানা পাঁচিল ধসে পরে।সাতজন ঠিকা শ্রমিক কাজ করছিলেন।মৃত সুকুমারের বাবা রুদ্র নারায়ন দাস বলেন,ছেলে দিন মজুরের কাজ করে।আজ সকালে কাজে বেরিয়েছিল। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে দেখি মৃত্যু হয়েছে ছেলের।
ঠিকা শ্রমিক মহাদেব দাস ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মাটি কেটে তোলা হচ্ছিল ড্রেন তৈরির জন্য। কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছিল। এমন সময় হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে পাঁচিলটা ভেঙে পড়ল।আমরা বুঝতেই পারিনি। সাতজন কাজ বেরিয়ে যেতে পারলেও চারজন চাপা পড়ে যাই।পুলিশ ও স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে।গাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সুকুমারের মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বীরভূমে বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছিল এক কিশোরের । ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিল আরও দুজন কিশোর । দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মরাজতলা পাড়ায়। মৃত কিশোরের নাম চয়ন দাস । ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মরাজতলা পাড়ায় বহুতল নির্মাণ করার জন্য একটি কংক্রিটের বাড়ি ভাঙার কাজ চলছিল । ঘটনার দিন সন্ধের সময় চয়ন তার বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় খেলা করছিল । সেই সময় পুরনো বাড়ির দেওয়াল তাদের উপর পড়ে যায়। প্রতিবেশীরা আহত কিশোরদের উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা চয়ন দাসকে মৃত বলে ঘোষনা করেন । ঘটনায় আহত দুই কিশোরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।