Durga Puja 2021: দেবী দুর্গার দর্শন পেয়েছিলেন বাড়ির কর্তা! ২৫০-এর পুজোর প্রস্তুতি চণ্ডীতলা জনাই রাজবাড়িতে
হুগলির চণ্ডীতলা জনাই রাজবাড়ির পুজো আনুমানিক ২৫০ বছরের পুরনো। পুজোর সূচনা করেছিলেন কালীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। পুজোর পরিচিতি কালীবাবুর পুজো নামে।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: সময় পাল্টেছে সময়ের নিয়মে। কিন্তু প্রথা মেনে ২৫০ বছর ধরে পুজো হয়ে আসছে বংশপরম্পরায়। হুগলির জনাই রাজবাড়ির পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। হয় না কোনও আমিষ ভোগ। রাজ্যপাট না থাকলেও হারায়নি সহজাত আভিজাত্য৷
হুগলির চণ্ডীতলা জনাই রাজবাড়ির পুজো আনুমানিক ২৫০ বছরের পুরনো। পুজোর সূচনা করেছিলেন কালীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। পুজোর পরিচিতি কালীবাবুর পুজো নামে। পলাশীর যুদ্ধের সময় তৈরি হয় এই রাজবাড়ি। তৎকালীন ব্রিটিশের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল কালীবাবুর। কালীবাবু অনেকদিন ভাগলপুরের দেওয়ান হিসেবে ছিলেন, জন্মস্থান বেনারস। উনি জনাইতেই বসবাস করতেন।
এলাকার শ্মশানের একটি অংশে রাজবাড়ি তৈরি করেন কালীপ্রসাদ। কথিত আছে, সাধনা করে এখানেই তিনি দেবী দুর্গার দর্শন পেয়েছিলেন। তারপরই শুরু করেছিলেন আরাধনা।
সেই থেকে প্রথা মেনে বংশপরম্পরায় হয়ে আসছে পুজো।
এবারে পুজো হচ্ছে কালীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এর সপ্তম উত্তরাধিকারী কুমার সোহন মুখোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, এক সময় এই বাড়িতে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, এসেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। এখানে হয়েছে বহু বাংলা সিনেমার শুটিং হয়। বৈষ্ণব মতে দুর্গা পুজো হয় এখানে। হয় না কোনও আমিষ ভোগ। রাজবাড়ির সদস্যদের পাশাপাশি, পুজোয় অংশ নেন এলাকার বাসিন্দারা।
জেলায় জেলায় চলছে পুজোর প্রস্তুতি, বর্ধমান মহারাজের প্রতিষ্ঠিত দেবী সর্বমঙ্গলার ঘট উত্তোলনের মাধ্যমে রাঢ় বঙ্গের শারদীয়া উৎসবের (Durga Puja 2021) সূচনা হল। রাজ আমলের প্রথা মেনেই বৃহস্পতিবার বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মায়ের ঘট উত্তোলন হয়। আর এই ঘট উত্তোলন ও প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়েই বর্ধমানে আনিষ্ঠানিকভাবে শারদ উৎসবের সূচনা হল।
অন্যদিকে রায়বাড়ির পাঁচঘড়ার পুজো (Durga Puja)। দেখুড়িয়া গ্রামের এই পুজো জেলায় যথেষ্ট প্রসিদ্ধ। তখনও দেশভাগ হয়নি। বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজশাহী জেলার দুবলহাটিতে রমরমিয়ে শুরু হল দুর্গাপুজো। সেই পুজোর সূচনা কে করেছিলেন তা সঠিক জানা নেই বর্তমান পুজো উদ্যোক্তাদের। তবে ইতিহাস ও লোকমুখে প্রচলিত কথা থেকে যেটুকু জানা যায়, তা হল, সে সময় জমিদারীর দেখাশোনা করতেন রায় পরিবার। পরবর্তীকালে তাদেরকেই পুজোর দায়িত্ব দেন তৎকালীন জমিদার। সেই পুজো আজও নিষ্ঠার সঙ্গে হয়ে আসছে বীরভূমের রামপুরহাট থানার দেখুড়িয়া গ্রামে।
আরও পড়ুন: Sreebhumi Sporting Club: ২০ কোটির গয়না দিয়ে সেজেছে শ্রীভূমির দুর্গা, প্রকাশিত ক্লাবের পুজোর গান