Kalyaneshwar Temple Shiv Ratri : এই শিবলিঙ্গকে 'জ্যান্ত শিব' বলেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ, আজও এখানে পুজো দেন বেলুড়ের সন্ন্যাসীরা
ঠাকুর শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেব বলেছিলেন যে, এই কল্যাণেশ্বর শিবলিঙ্গে স্বয়ং শিবশম্ভুর অবস্থান। ঠাকুরের এই কথা স্মরণ করেই বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ এখানে শিবরাত্রির পুজো সারেন প্রতি বছর।
ভাস্কর ঘোষ, হাওড়া : শিবরাত্রি ( Shivratri 2024 ) । সারা দেশে আজ দেবাদিদেবের পুজোর মহা আয়োজন। প্রতি বছরের মতো এ বছরও মহা শিবরাত্রিতে ( Maha Shivratri 2024 ) বালির কল্যাণেশ্বর শিব মন্দিরে পুজো করলেন বেলুড় মঠের সন্ন্যাসীরা। প্রায় ৪০০ বছরের ঐতিহ্যবাগী এই পুজো।
বালির 'কল্যাণেশ্বর বাবা'র অবস্থান বালির কল্যাণেশ্বরতলায়। কথিত আছে ঠাকুর শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেব বলেছিলেন যে, এই কল্যাণেশ্বর শিবলিঙ্গে স্বয়ং শিবশম্ভুর অবস্থান। ঠাকুরের এই কথা স্মরণ করেই বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ এখানে শিবরাত্রির পুজো সারেন প্রতি বছর।
কথিত আছে ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণদেব দক্ষিণেশ্বর থেকে গঙ্গা পার করার সময় একবার প্রবল দুর্যোগের মুখে পড়েছিলেন। বাধ্য হয়ে কল্যানেশ্বর গঙ্গার ঘাটে নৌকা থামাতে হয় ঠাকুরকে। দুর্যোগ এতটাই প্রবল ছিল যে, তিনি কল্যানেশ্বর মন্দিরে আশ্রয় নেন। তখনই নাকি শিবশম্ভুর দর্শন পান তিনি। এই শিবলিঙ্গকে জ্যান্ত শিব বলে আখ্যা দিয়েছিলেন পরমহংসদেব। জানা যায়, শুধু শ্রীরামকৃষ্ণদেবই নন। স্বামী বিবেকানন্দও এই মন্দিরে শিবপুজো করতেন। কথিত আছে, বেলুড় মঠের প্রথম প্রেসিডেন্ট রাখাল মহারাজ একবার শ্রীরামকৃষ্ণদেবের সঙ্গে এই মন্দিরে এসেছিলেন। তখন তিনি ঠাকুরকে রামকৃষ্ণদেবকে গভীর সমাধিতে সমাধিস্থ হতে দেখেন।
তারপর থেকে প্রতি শিবরাত্রিতে এই শিব মন্দিরে পুজো দিতেন ঠাকুর। বিশেষত শিবরাত্রিতে এই মন্দিরে শ্রীরামকৃষ্ণ আসতেন বলে জানা যায়। বেলুড় মঠের সন্ন্যাসীরাও তাই ঠাকুরের দেখানো পথেই সেই রীতি মেনে চলেছেন ।
শুক্রবার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ এবং মঠের বহু সন্ন্যাসী শিবরাত্রিতে শিবের আরাধনা করেন এখানে। এদিন বালির কল্যাণেশ্বর মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায়, প্রাক্তন জনপ্রতিনিধি পল্টু বণিক, প্রবীর রায়চৌধুরী প্রমুখ।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আজ কখন শিবরাত্রি তিথি, কখন কোন প্রহরের পুজো
- শিবরাত্রিতে প্রতিটি প্রহরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মেনে চলেন শৈবভক্তরা। এবারের প্রথম প্রহরের সময় পড়েছে সন্ধ্যে ৬.২৫ মিনিট থেকে ৯.২৮ মিনিট পর্যন্ত। প্রথম প্রহরে জল ও দুধ নিবেদন করুন।
- দ্বিতীয় প্রহর শুরু হচ্ছে রাত ৯.২৮ মিনিট থেকে রাত ১২.৩১ মিনিট পর্যন্ত। এই প্রহরে জল এবং দই নিবেদন করা হয়।
- তৃতীয় প্রহর শুরু হচ্ছে রাত ১২.২১ মিনিট থেকে ৩.৩৪ মিনিট পর্যন্ত। এই সময় ঘি এবং জল নিবেদন করা হয় ভোলেনাথকে।
- চতুর্থ এবং শেষ প্রহর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ৯ তারিখ ৩.৩৪ মিনিট থেকে ভোর ৬.৩৫ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। এই সময় মধু এবং জল প্রথমে নিবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন :