(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Becharam Manna: "১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রস্তাব আগেই দিয়েছিলেন মমতা", জানালেন বেচারাম
Hooghly News Becharam Manna comments: তিনি বলেন, "যারা ভালো খেলোয়াড় হয় তারা কখনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকে, এমনটা কোনওদিন শুনবেন না।"
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: রাজ্যে মহিলা হকি চ্যাম্পিয়ন ২০২১ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে এসে রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না (Becharam Manna) বার্তা দিলেন খেলাধুলোর উপকারিতা নিয়ে। সেই অনুষ্ঠানেই সিঙ্গুরের (Singur) বিধায়ক তথা রাজ্যের শ্রম মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, "গীতা পড়ার চেয়ে খেলাধুলা করা ভালো খেলাধুলা করলে মন ভালো থাকে।সমস্ত কাজই ভালো হয়।" বিবেকানন্দের বাণী উদ্ধৃত করেই এমনটাই বলেন মন্ত্রী। এই অনুষ্ঠান থেকে মোদির ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে কটাক্ষও করেন।
শ্রীরামপুর স্পোর্টিং ক্লাবের State Hockey Women Championship-এর মহিলা হকি প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে আসেন বেচারাম মান্না। সেই অনুষ্ঠান থেকে তিনি বলেন, "যারা ভালো খেলোয়াড় হয় তারা কখনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকে, এমনটা কোনওদিন শুনবেন না। যারা খেলোয়াড় তাঁরা কারওর বাড়িতে ডাকাতি করতে গেছে। কোনও মহিলার গায়ে হাত দিয়েছে, এরকম কোন অভিযোগ শোনা যাবে না। খেলার মাধ্যমে অপরাধবোধকে আমরা কমাতে পারি। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
পাশাপাশি তিনি একই অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপিকেও কটাক্ষ করেন। বেচারামের কথায়, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ঘোষণা করেছেন মোদি এ সবই রাজনীতি। এই প্রস্তাব আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন। এটা নিয়ে শুধু ঢিলেমি ও রাজনীতি করছে এরা। এমনকি ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটেও নিজের ছবি তুলে তুলে দিচ্ছে। যেখানে দেশের পতাকা থাকার কথা, ম্যাপ থাকার কথা, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দিচ্ছে। এটা আমাদের কাছে লজ্জাজনক।"
অন্যদিকে, বিজেপির জেলা-সহ বিভিন্ন জায়গায় পদের পরিবর্তনের ফলে সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রুপ থেকে একাধিক নেতার বেরিয়ে আসা নিয়েও কটাক্ষ করেন বেচারাম। তিনি বলেন, বিজেপি দলটা সার্কাস পার্টি।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের পর বিজেপি-র রাজ্য কমিটিতে ব্যাপক রদবদল ঘটে। তাতে রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়েন সায়ন্তন বসু। প্রকাশ্যে এ নিয়ে ক্ষোভ না জানালেও, দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। শনিবার ফের তার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। শনিবার এক সঙ্গে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন বিজেপি-র পাঁচ বিধায়ক, গাইঘাটার সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের অশোক কীর্তনীয়া, হরিণঘাটার অসীম সরকার, কল্যাণীর অম্বিকা রায় এবং রানাঘাট দক্ষিণের মুকুটমণি অধিকারী।