(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Howrah: গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা এবং দখল নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে
এই নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাননি উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি।
সুনীত হালদার, হাওড়া: গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা এবং দখলকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর দেখা দিয়েছে বিজেপি (BJP) এবং তৃণমূলের (TMC) মধ্যে। স্থানীয় সূত্রে খবর, উলুবেড়িয়ার উত্তর কেন্দ্রের বানিবন গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। বিজেপি আবার এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। যদিও এই নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাননি উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি (Nirmal Maji)।
সূত্রের খবর, উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বানীবন গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২৪টি আসনের মধ্যে দশটি আসন তৃণমূলের, তেরোটি আসন বিজেপির এবং একটি আসন ফরওয়ার্ড ব্লকের ছিল। গত ১৯ অগাস্ট উলুবেড়িয়ার করাতবেড়িয়া তৃণমূল পার্টি অফিসে উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজির নেতৃত্বে একজন ফরওয়ার্ড ব্লক কর্মী এবং পাঁচজন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। জানা যাচ্ছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় এরপরই গত ২৬ অগাস্ট উলুবেড়িয়া দু নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়। তৃণমূল চিঠি দেওয়ায় বসে থাকেনি বিজেপি। তাদের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়। সব মিলিয়ে জটিল পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে সেখানে।
আরও পড়ুন - Howrah: আর্থিক মন্দায় ধুঁকছে হাওড়া শিল্পাঞ্চল, প্রভাব পড়েছে এবছরের বিশ্বকর্মা পুজোতেও
জানা গিয়েছে, আজ বিজেপির হাওড়া জেলা গ্রামীণের সভাপতি প্রত্যুষ মন্ডল আবার সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেন যে, আগামী সোমবার উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বানীবন গ্রাম পঞ্চায়েতের অনাস্থা প্রস্তাবের উপর কলকাতা হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করেছে। আপাতত ওই পঞ্চায়েত বিজেপির দখলেই রয়েছে বলে দাবি তাঁর। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ তোলেন যে, বিজেপির নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ভয় দেখিয়ে এবং প্রলোভনের মাধ্যমে নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করছে তৃণমূল। কিন্তু আইনি লড়াইয়ের সাহায্যে তাঁরা সেই চেষ্টা রুখে দিয়েছেন।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের হাওড়া গ্রামীণের চেয়ারম্যান ও বিধায়ক সমীর পাঁজা জানিয়েছেন যে, তিনি এখনও অর্ডারের কোনও কপি হাতে পাননি। তাই এখনই এই বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না। তবে, আদালতের নির্দেশ তাঁরা অবশ্যই মেনে চলবেন। তাঁরা দাবি করছেন যে, বিজেপি থেকে যাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের ইচ্ছেতেই গিয়েছেন। কেউ তাঁদেরকে জোর করেনি। পাশাপাশি নির্মল মাজির বক্তব্য, বিষয়টা বিচারাধীন। তাই তিনি এখনই কিছু এই বিষয়ে বলতে চান না।