Howrah News : 'চাকরির টোপ দিয়ে তরুণীকে আটকে রেখে নির্যাতন, আপত্তিকর কাজ করতে চাপ' গ্রেফতার আরিয়ান খান
এখনও নাগালের বাইরে শ্বেতা। ডোমজুড়ে চাকরির টোপ দিয়ে ডেকে বাড়িতে বন্দি করে তরুণীকে নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত আরিয়ান গলফ গ্রিন থেকে গ্রেফতার।

ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, সুনীত হালদার, হাওড়া : চাকরির টোপ দিয়ে ডেকে বাড়িতে বন্দি রেখে তরুণীকে নির্যাতনের অভিযোগে তোলপাড় বাংলা। হাওড়ার সেই ঘটনায় অবশেষে ধরা পড়ল পলাতক আরিয়ান খান। সঙ্গে পাকড়াও করা হয়েছে আরিয়ানের সঙ্গী শ্বেতাকেও। এখনও অধরা তার মা শ্বেতা খান। বুধবার ফকিরপাড়ায় শ্বেতা খানের মায়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এবার আটক করা হয়েছে শ্বেতার মাকেও। কিন্তু কোথায় গা -ঢাকা দিল সোশ্যাল মিডিয়ায় সেনসেশনাল ভিডিও ক্রিয়েটর, লাস্যময়ী শ্বেতা। এরই মধ্যে শ্বেতার একের পর এক কুকীর্তি এসেছে সামনে। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে অস্ত্র আইনে গ্রেফতার করা হয় শ্বেতাকে। তাঁর কাছ থেকেও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। ১৪ দিন জেলে থাকার পরে জামিনে ছাড়া পায় সে। কোথাঝ তার নাম ফুলটুসি তো কোথাও শ্বেতা, কোথাও আবার মহসিনা বেগম। তার এই কীর্তিতে ঢি ঢি পড়ে গিয়েছে গোটা পাড়ায়। ।
পুলিশসূত্রে খবর, যে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় কাজ দেওয়ার টোপ দিয়ে তরুণীকে ফাঁদে ফেলার অভিযোগ ওঠে, আদতে তা ভুয়ো। এমন কোনও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার অফিসের কোনও খোঁজ মেলেনি। অভিযোগ, নির্যাতিতাকে বাড়িতে আটকে রাখার সময় ২ বার তাকে গাড়িতে নিয়ে বের হয় অভিযুক্তরা। তাঁকে নাকি দিঘাতেও নিয়ে যাওয়া হয়। ইভেন্টের কাজেই কি দিঘায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নির্যাতিতাকে? প্রশ্ন অনেক। ইতিমধ্যেই ডাকসাইটে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে ছবি পাওয়া গিয়েছে শ্বেতা খানের। তবে নেতারা নাকি তাঁকে কেউই ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন না। প্রশ্ন উঠেছে, কীসের দাপটে এত কাণ্ড করে বেড়াত শ্বেতা ?
মঙ্গলবার শ্বেতার ফ্ল্যাটে তল্লাশির জন্য বাঁকড়া ফাঁড়ির পুলিশের তরফে হাওড়া আদালতে আবেদন জানানো হয়। এরপর তল্লাশি চালানোর অনুমতি দেন বিচারক। পুলিশ সূত্রে দাবি, অত্যাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হবে। অন্য়দিকে, এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে হস্তক্ষেপ করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন।রাজ্যের ডিজিপিকে চিঠি লিখে অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারি চেয়েছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। তিনদিনের মধ্য়ে সবিস্তারে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে কমিশনের তরফে। জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, 'নীল ছবি করতে রাজি না হওয়ায় ৬ মাস ধরে আটকে রাখা এবং লোহার রড দিয়ে মারধরের যে খবর সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত হচ্ছে, তা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কমিশন এই বর্বর ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রাজ্যেরDGP-কে চিঠি লিখে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার উপযুক্ত ধারায়, অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারি চেয়েছেন। সেই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে নির্যাতিতার বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। ৩ দিনের মধ্যে কমিশনের কাছে বিস্তারিত অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট দিতে হবে।'






















