Howrah News : ভাঙা টিনের চাল, দরজা, জরাজীর্ণ ক্লাসরুম, হাওড়ার সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে এক ক্লাসেই পাঁচ শ্রেণির পড়াশোনা!
School in Bad Condition : কখনও ২ জন শিক্ষক, কখনও আবার ৩ জন শিক্ষক একসঙ্গে ক্লাস নিচ্ছেন। পাশেই রাখা মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ চাল-ডালের বস্তা।
সুনীত হালদার, হাওড়া : সাঁকরাইলের ধূলাগড়ি ওয়েস্ট মুসলিম পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই ক্লাসরুমে চলছে পাঁচটি ক্লাসের পড়াশোনা। কারণ বাকি ক্লাসরুম সব জরাজীর্ণ। চরম সমস্যায় পড়েছেন স্কুলের পড়ুয়ারা।
সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের বেহাল দশা
সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল (Government Aided School) হলেও তাতে কিন্তু ক্লাসরুম একটাই ! আর সেখানেই পড়াশোনা চলছে ৫টি ক্লাসের পড়ুয়াদের। হাওড়ার (Howrah) সাঁকরাইলের ধূলাগড়ী ওয়েস্ট মুসলিম পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাল এমনই শোচনীয়। যেখানে টিনের চাল ভেঙে পড়েছে, ভাঙা দরজার পাল্লাও। কোথাও দেওয়ালের এমন দশা যে, যখন তখন ভেঙে পড়তে পারে।
উপায় নেই। তাই একটাই ঘরে চলছে পাঁচটি ক্লাসের পড়ুয়াদের পড়াশোনা। কখনও ২ জন শিক্ষক, কখনও আবার ৩ জন শিক্ষক একসঙ্গে ক্লাস নিচ্ছেন। পাশেই রাখা মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ চাল-ডালের বস্তা।
বারবার অভিযোগ, হয়নি সমস্যার সুরাহা
সাঁকরাইলের এক স্থানীয় বাসিন্দা ও ধূলাগড়ি ওয়েস্ট মুসলিম পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ার অভিভাবকদের অভিযোগ, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে দূরে অন্য স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করেছেন অনেকে। পঞ্চায়েত অফিস থেকে শুরু করে জেলা শিক্ষা দফতরে জানানো সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
১৯৪৪ সালে ধূলাগড়ি ওয়েস্ট মুসলিম পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই স্কুলের প্রতিষ্ঠা। ১৯৫৫ সালে স্কুলকে স্বীকৃতি দেয় সরকার। বর্তমানে স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৫৪। শিক্ষক আছেন ৪ জন। ভগ্নপ্রায় এই স্কুলবাড়িতে আছে ৫টি ঘর। ৩টিই ব্যবহারের অযোগ্য। একটি মাত্র পাকা ক্লাসরুমে প্রি প্রাইমারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ৫টি ক্লাসের পড়ুয়াদের একসঙ্গে বসানো হয়। অন্যটি স্কুলের অফিস ঘর।
কবে ফিরবে হাল ?
ধূলাগড়ি ওয়েস্ট মুসলিম পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোতোষ রায় বলেছেন, 'বাধ্য হয়ে একই ক্লাসরুমে পাঁচটি ক্লাস। মাঝে মাঝে অফিস ঘরেও ক্লাস নিতে বাধ্য হন শিক্ষকরা। স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা এলেও ক্লাসরুম না থাকায় ভর্তি নিতে পারছি না।' এদিকে, হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ ঘোষ বলেছেন, 'স্কুলে দুটি অতিরিক্ত ক্লাসরুমের বরাদ্দ থাকলেও আইনি জটিলতার কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। আদালতের কাছে আবেদন করা হবে যাতে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে নির্মাণ কাজের অনুমতি দেয়।'
শেষ অবধি স্কুলের হাল ফিরবে কবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
আরও পড়ুন- 'রাজ্য সরকার ছুটি কাটাচ্ছে, সেইজন্যই ভয়ঙ্কর ডেঙ্গি পরিস্থিতি', কটাক্ষ শুভেন্দুর