Howrah News: ডুবে রয়েছে চাষের জমি-বাড়ি, পুজোর আগে আতান্তরে উদয়নারায়ণপুরের বাসিন্দারা
Flood Situation: বহু বাড়িঘর ভেঙে গিয়েছে। মাটিতে মিশেছে একাধিক মাটির বাড়ি। বহু ফসল গিয়েছে জলের তলায়।
সুনীত হালদার, হাওড়া: বন্যা পরিস্থিতিতে অকূল পাথারে পড়েছেন উদয়নারায়ণপুরের বাসিন্দারা। সাধারণ মানুষরা সমস্য়ায় যেমন পড়েছেন, তেমনই অন্যদিকে চরম বিপদে পড়েছেন দুর্গা পুজোর উদ্যোক্তারা। আর মাত্র কয়েকদিন বাকি দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই অনেক জায়গায় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কিন্তু বন্যার ধাক্কায় তার অবস্থা এখন তথৈবচ। এবার বন্যার কারণে অধিকাংশ জায়গায় কোনওমতে পুজো হবে এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা। গ্রামের নির্মীয়মান প্যান্ডেল থেকে কবে জল নামবে কার্যত তাঁর দিকেই তাকিয়ে আছেন গ্রামবাসীরা।
দুর্গা পুজো আর বেশি দিন দেরি নেই। প্রতি বছর উদয়নারায়নপুরে প্রায় প্রত্যেকটি গ্রামে নিয়ম মেনে দুর্গা পুজো হয়। প্রত্যেক গ্রামবাসী এই পুজোকে ঘিরে আনন্দে মেতে ওঠেন। তবে এই বছরে ভয়াবহ বন্যার কারণে পুজোর উদ্যোক্তারা আতান্তরে পড়েছেন। উদয়নারায়ণপুরের কুরচি শিবপুর, শিবানীপুর, গজা, হোদল, হরিহরপুর, টোকাপুর, গড় ভবানীপুর, মুনশুকা কানুপাট সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় গত দুই দিন ধরে দামোদর নদীর জল বাঁধ টপকে হু হু করে ঢুকছে। জলের তোড়ে এখন ওই এলাকার চাষের জমি এবং ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শুক্রবার নদীর জলস্তর কমে যাওয়ার ফলে অনেক জায়গা থেকেই ধীরে ধীরে জল নামতে শুরু করেছে এমনটাই জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু সব জায়গার ছবিটা একরকম নয়। উদয়নারায়ণপুরে ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যে যে গ্রামগুলি জলমগ্ন হয়েছিল সেগুলির অধিকাংশ জায়গায় এখনও জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। চাষের জমি এবং ঘরবাড়িতে কোথাও এক হাঁটু জল জমে রয়েছে, কোথাও আবার এক কোমর জল দাঁড়িয়ে থাকায় গ্রামবাসীরা চরম আর্থিক ক্ষতির সামনে দাঁড়িয়েছেন। পুজোর ঠিক মুখেই এতবড় আর্থিক ক্ষতি হওয়ার কারণে এবার আর জাঁকজমক করে পুজো হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন যেহেতু চাষের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে তাই চাষিরা আর আগের মত চাঁদা দিতে পারবেন না। তাই এ বার কোনওমতে নিয়ম মেনেই পুজো করার কথা ভাবছেন তাঁরা।
বন্যা পরিস্থিতির কারণে বহু বাড়িঘর ভেঙে গিয়েছে। একাধিক মাটির বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় গৃহহীন হয়ে পড়েছেন বহু লোক। চাষিরা জানিয়েছেন ধান এবং সবজি চাষের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার উদয়নারায়ণপুরের কুলটিকারি গ্রামে বন্যা পরিদর্শনে যান। সেখানে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের শস্য বিমা থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। এখন চাষিরা কার্যত সরকারি সাহায্যের দিকেই তাকিয়ে আছেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: বাংলা-ঝাড়খণ্ডের সব সীমানা বন্ধ রাজ্যের, পুরুলিয়ায় লরির সারি