Howrah Water Crisis: প্রবল গরমের মধ্যেই বন্ধ সরবরাহ, জলসঙ্কটে সমস্যায় হাওড়াবাসী
Howrah News: প্রচন্ড গরমে যখন জলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি, সেই সময় হাওড়া পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরগঞ্জ এলাকায় তীব্র পানীয় জলের সঙ্কট।

সুনীত হালদার, হাওড়া: তপ্ত দহনে পুড়ছে বাংলা। প্রবল গরমের সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। এরই মধ্যে হাওড়ায় পানীয় জলের সঙ্কট। পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে এই জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। পুরসভার জলের ট্যাঙ্ক পাঠালেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে পুরসভা।
জলসঙ্কটে সমস্যায় হাওড়াবাসী: প্রচন্ড গরমে যখন জলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি, সেই সময় হাওড়া পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরগঞ্জ এলাকায় তীব্র পানীয় জলের সঙ্কট। হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর, গত সোমবার থেকে ওই এলাকায় একটি ডিপ বোরিং টিউবওয়েলের মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। সেই কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে চরম অসুবিধায় পড়েছেন ওই এলাকার প্রায় হাজার তিনেক বাসিন্দা। যদিও হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত সোমবার থেকে টিউবওয়েল মেরামতির কাজ শুরু হওয়ার ফলে এলাকায় জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে গোটা এলাকায় পানীয় জলের জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন সকালের দিকে হাওড়া পুরসভা থেকে একটি পানীয় জলের ট্যাংক পাঠায়। এই তীব্র গরমের মধ্যে তা কিছুক্ষণেই শেষ হয়ে যায়। তারপরেও পানীয় জলের ট্যাঙ্কের সামনে বালতি হাতে বাসিন্দারা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন। তাঁরা জলের জন্যে বারবার পুরসভার কাছে দাবি জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপর স্থানীয়রা ফাঁকা পানীয় জলের ট্যাঙ্ক আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তারা ফাঁকা ট্যাঙ্কটি ফিরে যেতে বাধা দেয়। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরসভা থেকে আরও একটি জলের গাড়ি পাঠানো হয়।
আপাতত দুদিন তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি থাকবে তাপমাত্রা। আজ ও কাল পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম জেলায় তাপপ্রবাহের হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই আবহে জলসঙ্কটে সমস্যায় হাওড়াবাসী। হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চৌধুরী জানান, "গত সোমবার থেকে KMDA একটি ডিপ বোরিং টিউবওয়েলের মেরামতির কাজ শুরু করেছে। আশা করা যায় আগামীকাল কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।'' তিনি আশ্বাস দেন জলের চাহিদা অনুযায়ী ওই এলাকায় একাধিক পানীয় জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হবে।






















