Howrah News: হাওড়ার সাঁকরাইলে বিধ্বংসী আগুন ! বৃষ্টি শুরু হয়েও নিভল না শিখা, ঘটনাস্থলে দমকলের ১৫ ইঞ্জিন..
Howrah Fire Incident: হাওড়ার সাঁকরাইলে প্লাস্টিকের কারখানায় বিধ্বংসী আগুন

সুনীত হালদার, হাওড়া: ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড রাজ্যে। হাওড়ার সাঁকরাইলে প্লাস্টিকের কারখানায় বিধ্বংসী আগুন। এইমুহূর্তে হাওড়ার সাঁকরাইলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সঙ্গে দিচ্ছে দমকা হাওয়া। যদিও আগুন নেভার নাম নেই। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলেই পৌঁছে গিয়েছে দমকলের ১৫টি-রও বেশি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে আগুন নেভানোর কাজ। যদিও এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
সাঁকরাইলের ধূলাগড় ফুড পার্কের প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন। বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ কারখানায় আগুন লাগে। কারখানায় প্লাস্টিকের বস্তা সহ বিভিন্ন প্লাস্টিকের সামগ্রী তৈরি হয় । প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুদ থাকার কারণে দ্রুত গতিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন গ্রাস করে গোটা কারখানাটিকে। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে কাল ধোঁয়া তিন কিলোমিটার দূর থেকে দেখা যায়।
কারখানায় মহিলা থেকে পুরুষ মিলিয়ে হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করেন। কারখানা চালু অবস্থায় এই ঘটনা। এখনো পর্যন্ত হতাহতের কোন খবর নেই । আশপাশের কারখানা থেকে শ্রমিকরা আগুন নেভাবার কাজে হাত দেন। এ ছাড়া দমকলের ৬ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আগুন নেভাবার কাজ করছে। আগুন এখনো পর্যন্ত পুরোপুরি আয়ত্তে আসেনি। আরো দমকলের ইঞ্জিন আসছে। কি কারনে আগুন তা এখনো স্পষ্ট নয়। দমকল কর্মীরা জানিয়েছেন আগুন নেভানোর পর তদন্ত করে জানা যাবে। তবে তারা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়নি।
সম্প্রতি আরও একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হয়েছিল কলকাতা। ঘটনাস্থল ছিল কলকাতার টেরিটি বাজার। কাঠের বাক্সের গুদাম থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল আশপাশের দোকানে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল দমকলের ১২টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছিল আগুন নেভানোর চেষ্টা। ঘিঞ্জি এলাকায় এর আগেও একাধিকবার ফল ভুগতে হয়েছে। প্রশ্নের মুখে উঠেছে আকাশ ছোঁয়া তারের জটলা। কিন্তু কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। সেবার দীপাবলির আগে অগ্নিকাণ্ডে নষ্ট হয়েছিল প্রচুর LED লাইট, বিধ্বংসী আগুন কলকাতার টেরিটি বাজারে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বোস।
ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী শিয়ালদা ইএসআই হাসপাতালও। রয়েছে কসবার অ্যাক্রোপলিস মল ও গার্স্টিন প্লেসের অভিজ্ঞতাও। কিছু দিন আগেই বড়বাজারে মেহতা বিল্ডিংয়ে আগুন লেগেছিল। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল এলাকা। বারবার অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী থেকেছে কলকাতা। পার্কস্ট্রিটে ১৪ বছর আগে স্টিফেন কোর্টে আগুন লেগেছিল। আগুন লেগেছিল পার্কস্ট্রিটের ১৮-র A স্টিফেন কোর্টে। ভয়াবহ সেই আগুনে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আগুন থেকে বাঁচতে ওপর থেকে লাফ দেওয়ার মতো ভয়ঙ্কর ছবি সামনে এসেছিল।
আরও পড়ুন, হাইকোর্টের নির্দেশে নদিয়ার গাজনে SC-দের অনুমতি, নজরদারিতে জেলা জজ, ' উৎসব শেষ না হওয়া পর্যন্ত..'
শুধু স্টিফেন কোর্টই নয়, গত কয়েক বছরে কলকাতায় একাধিক জায়গায় বার বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। তবে গত কয়েকমাসের একাধিক অগ্নিকাণ্ডের পিছনে দায়ী ছিল এসি। কোথাও আবার গ্যাসের সিলিন্ডার। তবে বড়বাজারে মেহতা বিল্ডিংয়ের ওই এলাকায় আকাশ ছেয়েছে কালো তারে। শর্ট সার্কিটের জন্যও আগুন লাগার ভুরিভুরি ঘটানার উদাহরণ বহন করে চলেছে এই কলকাতা। কিন্তু কেন বারবার এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে ? দায়ী কে ? অগ্নিদাহ্য বস্তুগুলি নিয়ে কি দায়িত্বশীল নয় কেউ ? আগুন লাগলে কি আদৌ বেরিয়ে আসার রাস্তা থাকছে ? ফের নগরবসারীর সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে এল।
(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
