Howrah Terrorist Suspected Arrested : ভিনরাজ্যে পালানোর আগেই, হাওড়া স্টেশন থেকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার ১
Howrah Terrorist Suspected Arrested : পুলিশ সূত্রে খবর, গতবছরের অগাস্টে শাসন থানায় একটি মামলার তদন্তে উঠে আসে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : ট্রেনে চড়ে ভিনরাজ্যে পালানোর আগেই, জঙ্গি ( Terrorist ) সন্দেহে হাওড়া স্টেশন থেকে কোচবিহারের বাসিন্দাকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ ( STF ) ।
হাওড়া স্টেশনে ওঁৎ পেতে গ্রেফতার
পুলিশ সূত্রে খবর, গতবছরের অগাস্টে শাসন থানায় একটি মামলার তদন্তে উঠে আসে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার সকালে হাওড়া স্টেশনে ওঁৎ পাতে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। গ্রেফতার করে নান্নু মিঞাকে।
জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তির বয়স ৪০-এর কাছাকাছি। ধৃতের বাড়ি দিনহাটায় ( Dinhata ) । তাঁর বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। UAPA-র বিভিন্ন ধারা ছাড়াও ভারতীয় ফৌজদারি আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় ধৃতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।
আরও পড়ুন :
মাথা যন্ত্রণায় জেরবার? ঘরোয়া উপায়ে নিরাময় পাবেন কীভাবে?
এর আগেও হাওড়া থেকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার
এই বছরই প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে, দুই সন্দেহভাজন ISIS জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের STF। পুলিশের দাবি ছিল, ধৃতদের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, অনেকগুলি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের মধ্য়ে একজন এম টেকের ছাত্রও ছিল ! ধৃতদের নাম মহম্মদ সাদ্দাম ওরফে সাদ্দাম মল্লিক এবং সইদ আহমেদ। হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় ফ্ল্যাট সাদ্দামের। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এম টেকের ছাত্র। পরিবারের, দাবি সাদ্দাম এয়ারফোর্স, রেল এবং এমবিএ-র প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নেয়। সইদ আহমেদের বাড়ি হাওড়ার শিবপুরে। পুলিশের দাবি ছিল, ধৃতদের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, অনেকগুলি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে, দেশ বিরোধী কাজ, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং অস্ত্র সংগ্রহের ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।
গত বছর, এই হাওড়া থেকেই JMB জঙ্গি সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের STF। ধৃত আনিরুদ্দিন আনসারি মাদ্রাসার শিক্ষক। বাংলাদেশ থেকে আসা JMB জঙ্গিদের তিনি আশ্রয় দিয়েছিল বলে STF সূত্রে দাবি করা হয়। তাকে জেরা করে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর ছিল, ধৃত আনিরুদ্দিন আনসারি তার কয়েকমাস আগে ভোপালে গ্রেফতার হওয়া চার জেএমবি জঙ্গিকে একসময় হাওড়ায় নিজের বাড়িতে আশ্রয় দেয়। ওই চারজন ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে এ রাজ্যে আসে। মাসদুয়েক আগে ওই জঙ্গিরা ফের আনিরুদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। রাজ্য এসটিএফের তরফে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পুলিশের দাবি ছিল, এই রাজ্য ছাড়াও অসমে জেএমবি জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আনিরুদ্দিনের। তার কাছ থেকে বেশ কিছু পরিচয়পত্র মিলেছে। সেগুলিও সন্দেহভাজন জেএমবি জঙ্গিদের বলে পুলিশের অনুমান।
আরও পড়ুন :






















