Howrah: আন্দুলে স্কুলে একের পর এক চুরি, আতঙ্কে শিক্ষক, পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা
Howrah News: একের পর এক চুরির ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। এর প্রতিবাদে অভিভাবকরা আজ দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
সুনীত হালদার, হাওড়া: চোরেদের উপদ্রবে নাভিশ্বাস উঠেছে বিদ্যালয়ের। ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার আন্দুলের উত্তর মৌড়ি কেশবচন্দ্র নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে। একের পর এক চুরির ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। এর প্রতিবাদে অভিভাবকরা আজ দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই বিদ্যালয়ে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ
আন্দুলের উত্তর মৌড়ি কেশবচন্দ্র নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে চুরির উপদ্রব বেড়েছে। রাতের অন্ধকারে চোরেরা স্কুলের দরজা এবং জানলা ভেঙে মিড ডে মিল রান্নার বাসনপত্র, চাল, ডাল, তেল ,মসলা, বিদ্যালয়ের পাখা, আলো এবং বইপত্র চুরি করে চম্পট দেয়। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে বিদ্যালয়ের রাঁধুনির বাড়িতে রান্নার জিনিসপত্র এবং গ্যাস সিলিন্ডার প্রতিদিন রান্নার পর রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেশ কয়েকবার স্কুল কর্তৃপক্ষ ডোমজুড় থানায় জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ। গত ২০ মে রাতে ফের চোরেরা স্কুলের ক্লাস রুমের দরজা ভেঙ্গে যাবতীয় বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং মিড ডে মিলের জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে জানালেও কাজের কাজ কিছু না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়াদের অভিবাবকরা। সোমবার সকালে চোরেদের ধরার দাবিতে স্থানীয় মহিয়াড়ি রোড অবরোধ করে ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকরা।
কীভাবে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা?
বিক্ষোভকারীরা বিদ্যালয়ের বেঞ্চ রাস্তায় পেতে বসে পড়েন। এক ঘণ্টা অবরোধের পর পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। অভিভাবকদের অভিযোগ বারবার চোরেরা স্কুল থেকে জিনিসপত্র চুরি করে পালাচ্ছে। আবার চুরির পর স্কুলের চারদিকে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে ফেলে যাচ্ছে। ফলে যে কোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাঁরা অবিলম্বে চুরি বন্ধের দাবি জানান। স্কুলের রাঁধুনী জানিয়েছেন চোরেরা বাসনপত্র চুরি করার ফলে তাঁরা বাধ্য হয়ে বাসনপত্র এবং গ্যাস সিলেন্ডার বাড়ি নিয়ে চলে যান। এতে তাদের প্রচন্ড কষ্ট হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মালতি রায় জানিয়েছেন চোরেরা বড় বড় তালা এবং ছিটকানি ভেঙে মালপত্র চুরি করছে। যেভাবে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চুরি করছে এবং তার চারদিকে ছড়িয়ে রাখছে তাতে যে কোনও মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মাঝে একজন নিরাপত্তাকর্মী রাখা হলেও সে কিছুদিন কাজ করার পর চলে যায়। তারপর পরিস্থিতি একই রয়ে গেছে। স্কুল থেকে পুলিশ এবং প্রশাসনের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। স্থানীয় বিডিও জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষকে থানায় এফআইআর করতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলবেন যাতে ওই স্কুলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো যায়।