Howrah News: পুকুরে নেমে তলিয়ে গেল কিশোর, সাঁতার না জেনেও বন্ধুকে বাঁচাতে জলে ঝাঁপ, হাওড়ায় ২ পড়ুয়ার মৃত্যু !
Howrah Accident Minor Death: হাসপাতালে নিয়েও শেষ রক্ষা হল না, হাওড়ার বেলুড়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে দুই পড়ুয়ার !

হাওড়া: হাওড়ার বেলুড়ে জলে ডুবে দুই স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। লিলুয়া থেকে খেলা শেষে বেলুড়ে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বেলুড়ে পুকুরে নেমে তলিয়ে যায় এক জন। তাঁকে উদ্ধার করতে জলে নেমে ডুবে যায় আরও এক বন্ধু। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
জানা গিয়েছে, লিলুয়া থেকে খেলা শেষে ফিরছিল ৩ বন্ধু। লিলুয়ার বাজার এলাকায় পুকুরে হাত-পা ধুতে নেমেছিল এক কিশোর। সাঁতার না জানায় সে তলিয়ে যায়। সাঁতার না জানলেও বন্ধুকে বাঁচাতে আরেক কিশোর জলে ঝাঁপ দেয়। সেও তলিয়ে যাওয়ায়, আরেক বন্ধুর চিৎকারে ছুটে আসেন আশেপাশের বাসিন্দারা। যদিও ১৩ বছরের দুই কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত কিশোরদের একজনের বাড়ি বালিতে, আরেকজন বেলুড়ের বাসিন্দা।

বাইশ সালে আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল পশ্চিম বর্ধমানে জামুরিয়া থানা এলাকায়। সেবারেও পুকুরে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল দুই বালকের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, সকাল ৯টা নাগাদ পাঁচ বালক আখলপুর বাঁধের নিকট পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিল। স্নান করতে গিয়ে দুই বালক জলে তলিয়ে যায়। তিনজন কোনওমতে প্রাণে বেঁচে বাড়ি ফিরেছিল। তারাই এসে দুই বালকের তলিয়ে যাওয়ার খবর দিয়েছিল বাড়িতে। এরপরই মৃত দুই বালকের পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জলে নেমে তল্লাশি চালিয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। সেখান থেকে দুই বালককে উদ্ধার করেছিলেন তাঁরা। দ্রুত স্থানীয় আখলপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা দুই বালককে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন।
অপরদিকে, গতবছর পূর্ব বর্ধমানের কালনায় জলে তলিয়ে গিয়েছিল ২ ভাই। এবং উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে তলিয়ে গিয়েছিল ৩ কিশোর । কালনার জিউধারা এলাকায় রং খেলে একটি দীঘিতে স্নান করতে গিয়েছিল দুই ভাই। সেখানে পৌঁছে নৌকায় উঠেছিল তারা। এরপর সবসুদ্ধ জলে তলিয়ে গিয়েছিল দুই ভাই। জানা গিয়েছে একজনের নবম শ্রেণির ছাত্র, একজন সবে দশম শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছিল। সম্পর্কে তারা মামাতো পিসতুতো ভাই বলে জানা গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে কালনা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন।






















