Howrah News: 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চাই না; জমা জল সরাক, ঠিক করুক রাস্তা' হাওড়ায় প্রতিবাদ মহিলাদের
Howrah Water Log Update: জল যন্ত্রণা এতটাই তীব্র যে অবরোধ আর বিক্ষোভে স্লোগান উঠল "লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চাই না, আগে জমা জল সরাক প্রশাসন, ঠিক করা হোক রাস্তা।"

সুনীত হালদার, হাওড়া: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চাই না, আগে জমা জল সরাক প্রশাসন। এই দাবিতে হাওড়ার ডোমজুড়ে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন মহিলারা। জমা জলে বিপন্ন হাওড়ার ডোমজুড়ের বিপন্ন পাড়ার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, গত ১৫-২০ দিন ধরে বাড়ির মধ্যে এক কোমর জল । ৪টি পাড়ার ২০০টি বাড়িতে জল জমে রয়েছে। এর আগে ১ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকার খাল সংস্কার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েও থেমে যায়। প্রতিবাদে বেগড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। প্রধান জানিয়েছেন, সঙ্গত কারণেই ক্ষোভ দেখাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। পঞ্চায়েতের তরফে ৬টি পাম্প চালিয়ে জল নামানোর কাজ চলছে।
জল যন্ত্রণা এতটাই তীব্র যে অবরোধ আর বিক্ষোভে স্লোগান উঠল "লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চাই না, আগে জমা জল সরাক প্রশাসন, ঠিক করা হোক রাস্তা।" এই ছবি হাওড়ার ডোমজুড়ের বেগড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিপন্ন পাড়া এলাকার। বৃষ্টির জমা জলে বাড়ির সামনে রাস্তা কার্যত পচা খালের চেহারা নিয়েছে। ঘরের ভিতরে ঢুকেছে নোংরা জল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কোমর জলে বন্দি তাঁরা। ৪টি পাড়ার ২০০টি বাড়ি জলমগ্ন। এই পরিস্থিতিতে খাল সংস্কার ও জমা জল সরানোর দাবিতে এদিন রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। জল-যন্ত্রণায় জেরবার এলাকার মহিলারা বারবার বলতে থাকেন, তাঁদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নয়, আগে নাগরিক পরিষেবা দরকার। ডোমজুড়ে বাসিন্দা মৌ নস্কর বলেন, "সারা বছর স্বামীর পয়সায় খেয়ে আমাদের চলে যাচ্ছে। আগে তো 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' ছিল না। আমাদের রাস্তা চাই, জল নিকাশি চাই।'' বেগড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দেবাশিস ঘোষ বলেন, "পুরোটাই জালান ইন্ডিস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স। এই দুটো বুথে সারা বছরই জল জমে প্রায়। সমস্যার জন্য মানুষ এখানে অবরোধ করেছে। তাঁদের দাবি ন্যায্য। পঞ্চায়েতের ৬টি মেশিন (পাম্প) চলছে এখানে।''
টানা বৃষ্টির জেরে সমস্যায় পড়েছে পড়ুয়ারাও। স্কুলের ক্লাস ঘরে ভর্তি জল আর তাতেই পড়াশোনা শিকেয় উঠেছে। এই ছবি হাওড়ার বাঁকড়ার মুন্সিডাঙা শেখপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। স্কুলে কোমর সমান জল। বাধ্য হয়ে পাশেই নির্মীয়মাণ বাড়িতে কচিকাঁচাদের পড়াশোনা চলছে। সেখানেই রান্না হচ্ছে মিড ডে মিল। কিন্তু শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই। অনেকেই ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে চাইছেন না। প্রধান শিক্ষকের দাবি, গত ১০ বছর ধরে একই হাল। বর্ষায় অন্তত ২ মাস ক্লাসঘর জলে ডুবে যাওয়ায় পড়াশোনা লাটে ওঠে। প্রশাসনকে জানিয়েও কাজের কাজ হয়নি বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ। সমস্যার কথা জানা ছিল না বলে স্কুলের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছে হাওড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।






















