Howrah School Water Log: শিকেয় পড়াশোনা, টানা বৃষ্টিতে জল থই থই হাওড়ার স্কুলের ক্লাসঘর
Howrah News: গত ১৫ দিন বর্ষণের জেরে স্কুলের ক্লাস রুমের মধ্যে এক হাঁটু জল দাঁড়িয়ে গেছে। শিকেয় উঠেছে শিশুদের পড়াশোনা।

সুনীত হালদার, হাওড়া: একনাগাড়ে বৃষ্টি, ক্লাসঘর জল থই থই। পড়াশোনা শিকেয় উঠেছে। এই ছবি হাওড়ার বাঁকড়ার মুন্সিডাঙা শেখপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। স্কুলে কোমর সমান জল। বাধ্য হয়ে পাশেই নির্মীয়মাণ বাড়িতে কচিকাঁচাদের পড়াশোনা চলছে। সেখানেই রান্না হচ্ছে মিড ডে মিল। কিন্তু শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই। অনেকেই ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে চাইছেন না। প্রধান শিক্ষকের দাবি, গত ১০ বছর ধরে একই হাল। বর্ষায় অন্তত ২ মাস ক্লাসঘর জলে ডুবে যাওয়ায় পড়াশোনা লাটে ওঠে। প্রশাসনকে জানিয়েও কাজের কাজ হয়নি বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ। সমস্যার কথা জানা ছিল না বলে স্কুলের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছে হাওড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
গত ১৫ দিন বর্ষণের জেরে স্কুলের ক্লাস রুমের মধ্যে এক হাঁটু জল দাঁড়িয়ে গেছে। শিকেয় উঠেছে শিশুদের পড়াশোনা। ঘটনাস্থল বাঁকড়ার মুন্সিডাঙা শেখপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। বাধ্য হয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্ল্যাক বোর্ড এবং বেঞ্চ ছাড়াই পাশেই একটি নির্মীয়মান বাড়িতে গুটিকয়েক ছাত্র ছাত্রী নিয়ে ক্লাস করাচ্ছেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দাবি, সরকারিভাবে স্কুলের এই সমস্যা তাদের আগে জানানো হয়নি।
কয়েক বছর আগেও মুন্সিডাঙা শেখপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছোটদের কলতানে ভরে থাকতো ক্লাস গুলিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু গত ১০ বছর বর্ষাকালে ক্লাস রুমে এক কোমর জল জমে থাকায় স্কুল চালাতে সমস্যায় পড়ে কর্তৃপক্ষ। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা হু হু করে কমতে থাকে। একটা সময় যেখানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৪২০ জন ছিল এখন তা ঠেকেছে মাত্র ৮১ তে। শিক্ষক শিক্ষিকা আছেন চারজন। গত কয়েকদিন প্রবল বর্ষণের জেরে স্কুলের মধ্যে জমে গেছে এক কোমর জল। বাধ্য হয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ পাশের একটি নির্মীয়মান বাড়িতে ক্লাস করাচ্ছেন। যেখানে ব্ল্যাকবোর্ড, টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চ কিছুই নেই। ছোট ছোট শিশুরা মেঝেতে শতরঞ্জি পেতে বসছে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা দাঁড়িয়ে ক্লাস নিচ্ছেন। এরই মধ্যে এক পাশে রান্না হচ্ছে মিড ডে মিল। কোন টয়লেট নেই। এই পরিস্থিতিতে স্কুলে আসা ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা দ্রুত কমে গেছে।
অভিভাবকরা জানিয়েছেন, নোংরা জল ঠেলে স্কুলে আসার ফলে তাঁদের ছেলেমেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। জ্বর, সর্দি ছাড়াও নানা ধরনের চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই তাঁরা স্কুলে বাচ্চাদের পাঠাতে চাইছেন না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক পল্টু দাস জানান, এই জমা জলের সমস্যা নিয়ে তাঁরা স্থানীয় পঞ্চায়েত, বিডিও এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দফতরে লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও কোন সুরাহা হয়নি। প্রায় দু'মাস এই সমস্যায় ভোগেন।
এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ ঘোষ জানিয়েছেন নিচু এলাকার স্কুলগুলিতে জল জমে থাকার সমস্যা রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে এই সমস্যা নিয়ে সরকারিভাবে কিছু জানায়নি। সংবাদ মাধ্যম থেকে এ ব্যাপারে জেনেছেন। তারা এ ব্যাপারে এসআই এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে সমস্যার কথা জানতে চাইবেন। তারপর যাতে পাম্প চালিয়ে জল বের করে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।






















