Howrah: এখনও জলমগ্ন হাওড়া, ঘূর্ণিঝড় গুলাব-এর জেরে বিপর্যয় বৃদ্ধির ইঙ্গিত
কোথাও হাঁটু সমান জল আবার কোথাও গোড়ালি সমান নোংরা জল জমে আছে।
সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়া পুরসভার নিচু এলাকাগুলি এখনও জলমগ্ন। আগের অতিবৃষ্টির রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ঘূর্ণিঝড় এবং বৃষ্টির ভ্রুকুটি। বিপর্যয় রুখতে তৈরি হাওড়া পুরসভা।
হাওড়া পুরসভার কমপক্ষে ১৫টি ওয়ার্ডে এখন জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। কোথাও হাঁটু সমান জল আবার কোথাও গোড়ালি সমান নোংরা জল জমে আছে। বেলগাছিয়া, বামুনগাছি, টিকিয়াপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকা এখনো জলমগ্ন। জলমগ্ন রাস্তা দিয়ে বাঘ বা অন্য গাড়ি চলাচল করতে গিয়ে রাস্তায় খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ফের ঘূর্ণিঝড় এবং প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস থাকায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
যদিও হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন দুর্যোগের কথা চিন্তা করে পুরসভায় কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। জল যাতে দ্রুত নেমে যায় সেজন্য পাম্প হাউজগুলো চালানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত ছটি শক্তিশালী পাম্প বসানো হচ্ছে। একইসঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য ত্রিপল, পানীয় জলের পাউচ এবং শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুর কর্মীরাও সতর্ক থাকবেন। পুরসভার কন্ট্রোল রুমের নাম্বার 6292232870 এবং 6292232871।
আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে পরীক্ষার জের, দার্জিলিঙে বন্ধ থাকবে সমস্ত পর্যটনকেন্দ্র
এদিকে, শিবপুরের বিভিন্ন জায়গায় এখনও জল জমে রয়েছে। হাওড়ার শিবপুরে জলবন্দি এলাকা ঘুরে দেখতে গিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভ টের পেলেন এলাকার বিধায়ক ও মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি। পুরসভার ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তাঁরা। জনপ্রতিনিধিকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেয় বামুনগাছির বাসিন্দাদের একাংশ। তা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক।জল-যন্ত্রণার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মন্ত্রী। তাঁর আশ্বাস, শীঘ্রই দ্রুততার সঙ্গে এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।
অন্যদিকে, চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব। দুর্যোগ-শঙ্কায় জেলায় জেলায় প্রস্তুতি তুঙ্গে। আর দুর্যোগের পূর্বাভাসে এবার ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি কর্মীদের সমস্ত ছুটি বাতিল করল নবান্ন। শনিবার এই মর্মে একটি নির্দেশিকাও জারি হয়েছে। সময় যত এগোচ্ছে রাজ্যজুড়ে ততই বাড়ছে উদ্বেগ। বঙ্গোপসাগরের জঠরে তৈরি হওয়া দানবের আগমন বার্তায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রশাসনিক তৎপড়তা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় গুলাবের সরাসরি প্রভাব পড়বে না পড়লেও, বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বইবে রাজ্যে।