IIM Joka Case: 'কোনও অত্যাচার হয়নি, অভিযোগ লেখানো হয়েছে', বলছেন IIM জোকার নির্যাতিতার বাবা
IIM Joka Physical Assault Case: শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন নির্যাতিতার বাবা।

কলকাতা: IIM জোকার ক্যাম্পাসে মনোবিদ তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে সরগরম রাজ্য। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর সেই আবহে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেমন নির্যাতিতার বাবা। কিন্তু মেয়ে ধর্ষণের শিকার হননি, কোনও অত্যাচার হয়নি বলে দাবি করলেন তিনি। যদিও হরিদেবপুর থানা একজনকে গ্রেফতার করেছে ইতিমধ্যেই। (IIM Joka Case)
শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন নির্যাতিতার বাবা। মেয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, "হ্যাঁ কথা বসেছি। ও বলেছে, না আমাকে কেউ অত্যাচারও করেনি, খারাপ ব্যবহারও করেনি।" কিন্তু ধর্ষণের অভিযোগেই তো একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ? জবাবে নির্যাতিতার বাবা বলেন, "আমি আর জানি না অত।" তাঁরা তাহলে আর কী চান? নির্যাতিতার বাবা বলেন, "আমরা আর কী চাইব। আমার মেয়েকে ফিরে পেয়েছি। আমার মেয়ে নর্মাল।" (IIM Joka Physical Assault Case)
যে ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁর সঙ্গে নির্যাতিতার আলাপ সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁদের মধ্যে কী সম্পর্ক জানতে চাওয়া হলে নির্যাতিতার বাবা বলেন, "কোনও সম্পর্ক নেই।" মেয়ের সঙ্গে পরিষ্কার ভাবে কথা বলেছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, "না, মেয়ের সঙ্গে পরিষ্কার ভাবে কথাটা এখনও বলতে পারিনি। সারারাত ঘুমায়নি, ও এখন ঘুমাচ্ছে। উঠলে কথা বলব পুরোপুরি।"
তাহলে IIM জোকার হস্টেলে কী করতে গিয়েছিলেন নির্যাতিতা? বাবার বক্তব্য, "মেয়ে যেখানে স্টাডি করে, কী একটা কাগজ জমা দিতে গিয়েছিল।" মেয়ে কি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে? বাবা বলেন, "না, না ও স্ট্রং।" আপনার মেয়ে তাহলে হরিদেবপুর থানায় গেলেন কেন? বাবা বললেন, "থানা ওকে কোথা থেকে পেয়েছে জানি না। সেটা ওরা বলেনি, আমি জিজ্ঞেসও করিনি। আমার সঙ্গে বেশি ক্ষণ কথা বলেনি ওরা। ও বলল, 'আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছে অভিযোগ'।" তাহলে কি নির্যাতিতা অভিযোগ করেননি? বাবার জবাব, "ও তো বলছে, সব আমাকে দিয়ে লেখানো হয়েছে। ও পুরোপুরি ফিট।" তবে অভিযোগ কে লিখিয়েছে, জানাতে পারেননি তিনি।
সকাল থেকে যে খবর উঠে আসে, সেই অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ১১টা বেজে ৪৫ মিনিটে IIM জোকার ক্যাম্পাসে এক ছাত্রকে কাউন্সেলিং করাতে যান পোশায় মনোবিদ ওই তরুণী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ছাত্রের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। সকালে ক্যাম্পাসের লেক ভিউ হস্টেলে যান ওই তরুণী। মধ্যাহ্নভোজের পর আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন এবং সেই অবস্থাতেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠে আসে।
জানা যায়, রাত ৮টা বেজে ৩৫ মিনিটে জ্ঞান ফেরে ওই তরুণীর। এক পরিচিতকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে ঠাকুরপুকুর থানায় যান। পরে সেখান থেকে হরিদেবপুর থানায় তাঁকে নিয়ে যায় পুলিশ। এর পর রাত ১২টা নাগাদ ওই হস্টেল থেকে দ্বিতীয় বর্ষের এক পড়ুয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধর্ষণ, কিছু খাইয়ে আচ্ছন্ন রাখা থেকে জোর করে আটকে রাখা-সহ একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। এমনকি অভিযুক্তের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে, তিনি ফোনের পাসওয়র্ড দিতে চাইছেন না বলেও জানা যায়। কিন্তু নির্যাতিতা তরুণীর বাবা অত্যাচারের অভিযোগই অস্বীকার করছেন।






















