Indian Railway: বাড়ছে অভিযোগের সংখ্যা, এবার যাত্রীদের জন্য শিষ্টাচার নির্দেশিকা রেলের
Indian Railway New Guideline: নির্দেশিকায় (Notification) বলা হয়েছে, রাত ১০টার পর ট্রেনের কামরার আলো নেভাতে হবে। মোবাইল ফোনে জোরে জোরে কথা বলা যাবে না। কামরার ভিতরে তারস্বরে গান বাজানো নিষেধ।
অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: যাত্রীদের জন্য এবার রেলের (Indian Railway) শিষ্টাচার নির্দেশিকা। রেল সূত্রে খবর, সোশাল মিডিয়া চালু হওয়ার পর, যাত্রীদের আচার, ব্যবহার সম্পর্কিত অভিযোগের সংখ্যা বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে সকলের সুবিধার কথা মাথায় রেখে যাত্রীদের শিষ্টাচার সম্পর্কিত নির্দেশিকা জারি করেছে রেলমন্ত্রক (Ministry of Railways)।
মূলত একা থাকলে, বয়স্কদের ক্ষেত্রে সমস্যা নজরে এসেছে। সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে অভিযোগও জমা পড়েছে। আর সব দিক বিবেচনা করেই গাইডলাইন প্রকাশ করল রেল। রেলের জারি করা নির্দেশিকায় (Notification) বলা হয়েছে, রাত ১০টার পর ট্রেনের কামরার আলো নেভাতে হবে। মোবাইল ফোনে জোরে জোরে কথা বলা যাবে না। কামরার ভিতরে তারস্বরে গান বাজানো নিষেধ। রাত ১০টার পর কথা বলতে নিচু স্বরে, যাতে অন্য যাত্রীদের অসুবিধা না হয়। এই সমস্ত কিছুর ওপর নজর রাখবেন টিকিট পরীক্ষক, আরপিএফ, কেটারিং, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল বিভাগের অন-বোর্ড কর্মীরা। যাত্রীদের সঙ্গে রেল কর্মীদের (Railway Workers) নম্র ব্যবহার করতে হবে বলেও রেলের নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
এদিকে ময়নাগুড়িতে (Mayanguri) ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident) থেকে শিক্ষা নিয়ে যাত্রী নিরাপত্তায় আরও জোর দেওয়ার পথে হাঁটল ভারতীয় রেল। রেলমন্ত্রী, রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং সব জোনের অধিকর্তাদের নিয়ে ভার্য়ুচাল বৈঠকে নেওয়া হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। রেল সূত্রে খবর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রতিবার ট্রেন ছাড়ার সময় ইঞ্জিন পরীক্ষা করে রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। সুরক্ষার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেলে তবেই সেই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে। কোনও স্টেশনে ট্রেন বেশিক্ষণ দাঁড়ালে সেখানেও পরীক্ষা হবে ইঞ্জিনের। সেই পরীক্ষার সময় লোকোপাইলট ও ট্রেনের ম্যানেজারে উপস্থিতি বাধ্যতামুলক। রেল লাইন পরীক্ষা আগের মতোই বাধ্যতামূলক ও সুনির্দিষ্ট করতে হবে। সেই কাজে যাতে কোনও গাফিলতি না হয়, তার জন্য কর্মীদের অবস্থান জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্র্যাক করতে হবে।
আরও পড়ুন: Cyber Crime: প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোডের ছক, সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা খোয়ালেন শিক্ষক