Nawsad Siddique: জামিন পেলেন নৌশাদ সিদ্দিকি
গ্রেফতার হওয়ার ৪০ দিন পর জামিন পেলেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি।
কলকাতা : জামিন পেলেন নৌশাদ সিদ্দিকি। অবশেষে গ্রেফতার হওয়ার ৪০ দিন পর জামিন পেলেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি।
২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফ-এর একটি কর্মসূচি ঘিরে ঝামেলা হয়। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ভাঙড়ে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ISF নেতা-কর্মীরা, যার আঁচ এসে পড়ে কলকাতায়। ISF ও পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে, অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ধর্মতলা। গ্রেফতার করা হয় ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি-সহ আরও অনেক ISF নেতা কর্মীকে। তারপর থেকে নানা অভিযোগে বারবার নৌশাদকে হেফাজতে নিয়েছে নানা থানা। নৌশাদের মুক্তি চেয়ে পথে নেমেছিল ISF এবং বামদলগুলি। তারপরে হাইকোর্টে যান নৌশাদ সিদ্দিকি। সেখানেই প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার।
আগেই রাজ্যকে প্রশ্ন আদালতের:
গত সপ্তাহে নৌশাদ সিদ্দিকির (Noushad Siddique) গ্রেফতারি মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য (West Bengal)। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ এদিন প্রশ্ন করে, 'একটা ঘটনায় ৮৮ জন গ্রেফতার? প্রতিরোধমূলক গ্রেফতারির ক্ষেত্রের এতদিন ধরে ৮৮ জন জেলে? এই ধরনের ঘটনায় ১-২ জন নেতাকে হেফাজতে নিলে ঠিক আছে, কিন্তু ৮৮ জন? এই ৮৮ জনের ভূমিকা প্রমাণ করার মতো ভিডিও রেকর্ডিং আছে তো?'
ওই একদই দিনে আদালতে নৌশাদের আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, 'একজন নেতা বা বিধায়কের এই ধরনের ভূমিকা হয়? গণতন্ত্রের নামে এই ধরনের আচরণ করা যায়? প্রতিবাদের নামে এই ধরনের অনিয়মিত আচরণ করা যায় কি? এটা একজন নেতার কাছ থেকে আশা করা যায় না', মন্তব্য বিচারপতি বাগচীর। নৌশাদের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, 'কী কারণে ফের পুলিশি হেফাজতের প্রয়োজন? যা জিজ্ঞাসাবাদ করার, তা তো হয়েছে। তদন্তের জন্য প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্স করুন। উনি বিধায়ক। রাজবন্দি করে রাখা হোক।' সূত্রের খবর, তখন কাঠগড়া থেকে নৌশাদ সিদ্দিকি বলেন, 'কোনও বিশেষ সুবিধা চাই না। রাজবন্দি হওয়ার প্রয়োজন নেই।'
গ্রেফতারির ৪০দিন পরে শেষপর্যন্ত হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি।
কী ঘটেছিল সেদিন:
তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড় আহত হন ৪জন। আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে পতাকা লাগানোকে ঘিরে সংঘর্ষ বেঁধেছিল বলে খবর। হাতিশালায় পতাকা লাগানো সংঘর্ষ তৈরি হয়। তার আঁচ পড়ে কলকাতায়, ধর্মতলায় অবরোধ হয়। ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি, গুলি চলারও অভিযোগ। পোড়ে তৃণমূলের অফিস। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ধর্মতলায় আইএসএফের অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে দলীয় কর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। টেনে-হিঁচড়ে আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। এরপর আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ধর্মতলা চত্বর। ইট ছুড়তে ছুড়তে পুলিশকে তাড়া করে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। ঘোরাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পৌঁছয় আরও পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মুহুর্মুহু কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়তে থাকে পুলিশ। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, তাদের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে আইএসএফ। ঘটনা ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। জখম হন দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন। ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করে লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাজেয় নয়', সাগরদিঘির ফলাফল দেখে হুঙ্কার অধীরের