Naushad Siddiqui: নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ২৫ মিনিট বৈঠক, 'কবে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন ?' উত্তরে যা বললেন নওশাদ...
Mamata Banerjee: সূত্রের খবর, ISF বিধায়ককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

কলকাতা : মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় নবান্নে পৌঁছে যান নৌশাদ। সাড়ে ৫টায় তাঁদের সাক্ষাৎ হয়। প্রায় ২৫ মিনিট মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন নওশাদ। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচ করতে না দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক, এমনই জানিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, ISF বিধায়ককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বেরিয়ে নওশাদ বলেন, "আড়াই বছর ভাঙড় পঞ্চায়েত সমিতি-১, ভাঙড় পঞ্চায়েত সমিতি-২ আমার কাজকে নিয়ে শুধু টাইম কিল করেছে। জেলা থেকে একটা অর্ডার করেছে, যেখানে এডিএম(ডেভেলপমেন্ট)-এর সই আছে। তারা আমার কাজটা আবার সেই পুনরায় পঞ্চায়েত সমিতির হাতেই তুলে দিয়েছে। যে পঞ্চায়েত সমিতি আমার আড়াই বছর সময় নষ্ট করেছে। আবার তাকে দিয়েছে। আমার সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা, জিজ্ঞাসাবাদ না করেই। যত সময় ইউসি দেওয়া হয় না। আমার কাজের গুণগত মান খারাপ হয়েছে। ওখানে নেমপ্লেট আসেনি যে, আমার ওটা বিধায়ক তহবিলের কাজ...। সর্বোচ্চ জায়গায় এসেছি। এরপরেও যদি না আমার কাজ ঠিকঠাক করা হয়, তাহলে আর কিছু বলার নেই। তাহলে আমি বলে যাচ্ছি, আমার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে এসে ...৩ কোটি টাকা খরচ করার ক্ষমতা আমার আছে, সেই টাকা খরচ করব। ওদের কে নিয়ন্ত্রণ করছে সেই বিতর্কে আমি যেতে চাই না। আমার চাই কাজ। বেশিক্ষণ কথা হয়নি। যেহেতু আমায় সময় দিয়েছিল সাড়ে ৫টার দিকে। আমি আগেই চলে এসেছি। আমার যে বিষয়গুলো ছিল, সেগুলো উত্থাপন করেছি।"
এরপরই সাংবাদিকের তরফে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কবে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন ? এর উত্তরে নওশাদ বলেন, "কবে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছি ? আমার নিজের একটা পার্টি আছে। পার্টির আমি একটা চেয়ারম্যান। ৪২ দিন জেল খেটে, ১৩ খানা কেস মাথায় নিয়ে ঘুরছি।"
এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "এসবের মধ্যে আলোচনা করার খুব সুযোগ থাকে না। এটা খুবই চিন্তার বিষয় যে, বিধায়ক তহবিলের কাজ , সেই কাজের টাকা খরচের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে হবে ২৫ মিনিট ? মুখ্যমন্ত্রীর কাজ কি এতই কম পড়ে গেছে ? যে, মুখ্যমন্ত্রী একটা বিধায়ক তহবিলের কাজ ...সেই কারণে উনি কোনওদিন সময় পান না কারো সঙ্গে কথা বলার...এমনকী প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেও, সেটার জন্য হঠাৎ করে ডেকে নিলেন এবং উনিও চলে গেলেন এবং ২৫ মিনিট কথা হল এবং ঠিক আজ নির্দিষ্ট দিনেই। ধন্দটা স্বাভাবিক। বিশেষ করে তৃণমূল রাজত্বে এই ধন্দ।"
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
