Jadavpur University: যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুতে ফুঁসছে সব মহল, বিক্ষোভে একাধিক ছাত্র সংগঠন
JU Student Death: বারবার প্রশ্ন উঠছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির বৈঠক চলাকালীনই এদিন অরবিন্দ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় SFI।
কলকাতা: মাস দুয়েক আগে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কের তালিকায় স্থান দেখে বাংলার যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল,এখন সেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ই, প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যু এবং Ragging-এর অভিযোগে অস্থির। আর এই ছাত্র মৃত্যু এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে পথে নামে একাধিক ছাত্র সংগঠন।
বিক্ষোভে একাধিক ছাত্র সংগঠনের: বারবার প্রশ্ন উঠছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির বৈঠক চলাকালীনই এদিন অরবিন্দ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় SFI। বিক্ষোভ মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সংসদ। ক্যাম্পাসের মধ্যের ছবিটা যখন এরকম, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের কাছে, 8B বাসস্ট্যান্ডের পাশে ধর্নায় বসে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। পরে ৮বি-তেই সেভ ক্যাম্পাস, সেভ এডুকেশনের ডাক দিয়ে ধর্না-অবস্থানে বসে বিজেপির যুব মোর্চা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে যখন রাজনৈতিক উথাল-পাথাল চলছে তখন এদিনই মৃত ছাত্রের নদিয়ার বাড়িতে যান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও শশী পাঁজা, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, গোটা ঘটনাক্রম নিয়ে ঘুরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের দিকেই আঙুল তোলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “নৈরাজ্যজনক অবস্থা। যে কোনও পন্থা ওখানে থাকতে পারে। কোনও পন্থা নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু যদি মফস্বল থেকে একটা ছেলে যদি আসে, পড়তে আসে এবং হয়তো একটু, ততটা ইংরেজি বলতে দড় নয়, শহরে এসে একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাচ্ছে এবং কোথাও হয়তো তার দলনেত্রীর প্রতি, আমাদের দলনেত্রীর প্রতি তার শ্রদ্ধা বা ভালবাসা আছে, তাকে দেখলেই, রে রে করে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া, এই যে যাদবপুরের একাংশের এই ধরনের প্রবণতা হয়ে গেছে। এইটা খুবই...এবং স্তালিন এবং মাওয়ের নাম করে। স্তালিনের নাম করলে যেন খুন করে দেওয়া যায়! মাওয়ের নাম করলে যেন ছাত্রকে ওপর থেকে ফেলে দেওয়া যায়!’’
যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়া মিলিয়ে গ্রেফতার করা হল আরও ছজনকে। এদের মধ্য়ে পাঁচজনই ঘটনার পরই হস্টেল থেকে গা ঢাকা দেয়। পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়িতে অভিযান চালিয়েই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। আরেকজনকে পাকড়াও করা হয় ক্য়াম্পাস থেকে। এই নিয়ে ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল নয়। ধৃতদের বারো দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়লে, সবাই কী বলবেন, তার বয়ান ঠিক হয়েছিল জেনারেল বডির মিটিং করে। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তদের পরিকল্পনা ছিল ভিন রাজ্যে পালানোরও।
আরও পড়ুন: Nadia News: রাস্তা মেরামতের দাবি, রানাঘাটে অবরোধ গ্রামবাসীদের