Babul Supriyo: "কোনও আদর্শ নেই গুন্ডামি করেছে ৩৪ বছর'' বামেদের নিশানা বাবুলের
Jadavpur University: গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে যেভাবে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন হুবহু সেই পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলেন তিনি।

কলকাতা: যাদবপুরে নিজের ওপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে, শনিবারের ঘটনা নিয়ে বামেদের নিশানা করলেন তৃণমূল বিধায়ক ও পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তাঁকেও কীভাবে হেনস্থা করা হয়েছিল, এদিন সে প্রসঙ্গও টেনে আনেন পর্যটনমন্ত্রী।
মাঝে ৬ বছরের ব্যবধান। গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে যেভাবে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন হুবহু সেই পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলেন তিনি। যাদবপুরকাণ্ডে এবার বামপন্থীদের তীব্র আক্রমণ করলেন বাবুল সুপ্রিয়। যিনি তখন মোদি মন্ত্রিসভার সদস্য় ছিলেন, আর এখন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের মন্ত্রিসভায় পর্যটন মন্ত্রী। এদিন বাবুল সুপ্রিয় বলেন, "SFI, বাম, অতি বাম যাদের কোনও আদর্শ নেই গুন্ডামি করেছে ৩৪ বছর ধরে তারা গুন্ডামি করেছে আজও করছে। আর সুজনবাবু উল্টোপাল্টা বকছেন। কী ওঁর জনভিত্তি আছে বলুন তো? একটা কোথাও ভোটে জিততে পারেন উনি? কেন মানুষ ওঁর কথা শুনবে?''
২০১৯ সালের ১৯ শে সেপ্টেম্বর ABVP-র একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেছিলেন, তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। ক্যাম্পাসে ঢোকার পর পরই, পড়ুয়াদের একাংশ তাঁকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান তোলে দেখানো হয় কালো পতাকা। শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। খুলে নেওয়া হয় বাবুল সুপ্রিয়র চশমা, চুলের মুঠি ধরে টান, ধাক্কা পর্যন্ত মারা হয়। তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় পৌঁছেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করতে। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, "পেট্রোলের যে ট্যাঙ্কের যে কভার ছিল সেটা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং তার মধ্যে দেশলাই কাঠি ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। ওই SFI, বাম, অতি বাম যাদের কোনও আদর্শ নেই গুন্ডামি করেছে ৩৪ বছর ধরে তারা গুন্ডামি করেছে আজও করছে। এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ তো হবেই।''
শনিবার প্রথমে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর। তারপর শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় ছাত্রের জখম হওয়ার ঘটনায় তেতে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ব্রাত্য বসুর গ্রেফতারি ও পদত্যাগ চেয়ে গতকাল রাজ্যজুড়ে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘট ডেকেছিল SFI. সেই কর্মসূচি ঘিরেও অশান্তির ছবি দেখা যায় জেলায় জেলায়। চড়, কিল, ঘুষি, লাথি...বাদ যায়নি কিছুই। বিভিন্ন জেলার একাধিক কলেজে ধুন্ধুমার বেধে যায়। কোথাও SFI, কোথাও AIDSO-র সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। একাধিক কলেজে ওঠে বহিরাগত তাণ্ডবের অভিযোগ। যাদবপুরকাণ্ডের পর এদিন ফের পথে নামে SFI। হামলার অভিযোগ তুলে এবং শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি নেয় সিপিএমের ছাত্র সংগঠন।
আরও পড়ুন: Biswabangla University Chaos: নিয়োগ নিয়ে সংঘাত, চাকরি-তালিকা তরজায় উত্তপ্ত বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্য়ালয়
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
