VC Appointment : টাকার বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার প্রস্তাব ! বিস্ফোরক অভিযোগ প্রাক্তন অধ্যাপকের
Appointment Scam Allegation : শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য। আর তারইমধ্যে এবার আরও ভয়ঙ্কর অভিযোগ
রুমা পাল, কলকাতা : টাকার বিনিময়ে ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার প্রস্তাব ! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে হইচইয়ের মধ্যেই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রাক্তন অধ্যাপক রুবি সাঁই। নিশানায় শাসকপন্থী অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু। অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন কৃষ্ণকলি।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য। আর তারইমধ্যে এবার আরও ভয়ঙ্কর অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগেও অনিয়ম ? উপাচার্য নিয়োগেও টাকার দর কষাকষি ? তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠনের সভানেত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন এক অধ্যাপক।
কী অভিযোগ ?
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক রুবি সাঁইয়ের দাবি, ২০১৭ সালে ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার জন্য তাঁর কাছে ২০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয় ! সেই সময় তিনি তৃণমূলপন্থী অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আরও পড়ুন ; ফের পার্থকে দেখে 'চোর চোর' স্লোগান, এবার আদালতের বাইরে
টাকা চাওয়ার অভিযোগে রুবি সাঁই নিশানা করেছেন ওয়েবকুপারই সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসুর দিকে। যদিও রুবি সাঁইয়ের বক্তব্য, তিনি ফোনেই কৃষ্ণকলি বসুকে জানিয়ে দেন, ১৫-২০ লক্ষ টাকা ব্যাপার নয়। টাকা দিয়ে কেন ভাইস চ্যান্সেলর হব ?
অভিযোগ খারিজ করে পাল্টা জবাব দিয়েছেন কৃষ্ণকলি। অধ্যাপক ও ওয়েবকুপার সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু এনিয়ে বলেন, এতদিন পরে এই অভিযোগ উনি কীসের ভিত্তিতে করলেন ? ওয়েবকুপার কমিটি ভাঙে ২০১৭ সালে। অন্য কেউ যদি বলে থাকেন আমি তো তার দায় নিতে পারব না। রুবিদি এক সময় আমাদের সঙ্গে ছিলেন। পরে বিজেপিতে যান। এত বছর পর হঠাৎ এ কথা বলার ভিত্তি কী ?
রুবি সাঁই বর্তমানে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান পড়ান। অন্যদিকে, ব্যারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজে অধ্যাপনা করেন কৃষ্ণকলি বসু।
উভয়ের অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে শিক্ষা মহলে ! অধ্যাপক রুবি সাঁই বলছেন, যখন অর্পিতা-পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কেসগুলো দেখছি, তখন আমার মনে হল, এরকম ব্যাপারটাই চলে তাহলে। আমি বুঝতে পারিনি। এটা যে একটা চক্র-সিন্ডিকেট, এটা কিন্তু আমার একদমই মাথায় আসেনি। দিদির অত্যন্ত স্নেহভাজন এবং প্রিয় কৃষ্ণকলি বসু। কৃষ্ণকলি বসুর টেলিফোনের সেই রেকর্ডও আছে আমার কাছে। প্রয়োজন হলে প্রধানমন্ত্রীকে লিখব।
যদিও কৃষ্ণকলি বসুর বক্তব্য, পার্থদা তখন শিক্ষামন্ত্রী। একজন ভিসি এই কোটা থেকে হয়েছিল কিনা খোঁজ নিন। ওয়েবকুপা কোনও দিন ভিসির জন্য রেকমেন্ডেশন করেনি। আহত হলাম। আমার অনুমতি ছাড়া রেকর্ডিং করলেন কি করে। গভীর চক্রান্ত।
উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রেও এই বিস্ফোরক অভিযোগের কি কোনওদিন নিষ্পত্তি হবে? এটাই বড় প্রশ্ন।