Jaldapara Hollong Bunglow Fire: পুড়ে ছাই হলং বন বাংলো, নেপথ্যে 'চক্রান্তের' গন্ধ পাচ্ছেন বনমন্ত্রী
Forest Minister On Jaldapara Hollong Bunglow Fire: পুড়ে ছাই হয়ে গেল আলিপুরদুয়ারের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের হলং বন বাংলো, কেন আগুন ? জানতে চার-পাঁচজনের তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে, জানালেন বনমন্ত্রী
উত্তরবঙ্গ: পুড়ে ছাই আলিপুরদুয়ারের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের হলং বন বাংলো। নেপথ্যে চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন বনমন্ত্রী। কেন আগুন ? জানতে চার-পাঁচজনের তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে, জানালেন বনমন্ত্রী (Forest Minister)।
পুড়ে ছাই হয়ে গেল আলিপুরদুয়ারের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের হলং বন বাংলো। রাত ৯টা নাগাদ আগুন দেখতে পান এক কর্মী। বর্ষার জন্য ৩ মাস বন্ধ রয়েছে হলং বন বাংলো। ফলে বাংলোয় কোনও পর্যটক ছিলেন না। আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রায় একঘণ্টা পর ফালাকাটা-হাসিমারা থেকে দমকলের ২টি ইঞ্জিন পৌঁছয়।
ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে কাঠের তৈরি হলং বন বাংলো। AC শর্ট সার্কিটের জেরেই আগুন বলে বন দফতরের প্রাথমিক অনুমান। বন্ধ বন বাংলোতে কী তাহলে AC চলছিল? প্রশ্ন তুলেছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা। গর্বের হলং বন বাংলোকে রক্ষা করা গেল না বলে আক্ষেপ আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের। এদিকে, হলং বন বাংলো পুড়ে যাওয়ায় পর্যটনে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
চারিদিক ঘেরা সবুজ জঙ্গলে, সামনে সুসজ্জিত বাগান, তারই মাঝে ছিমছাম একটা বাংলো। ডুয়ার্সের জলদাপাড়ায়, হলুদ পিলারের ওপর দাঁড়ানো হালকা সবুজ কটেজ। বড় শান্ত চারিপাশ। জঙ্গলপ্রেমী কত বাঙালির আবেগ মিশে এই বাংলোর সঙ্গে। আর এই হলং বাংলোই মঙ্গলবার রাতের পর থেকে কার্যত অস্তিত্বহীন।কয়েক মিনিটের মধ্যে চোখের সামনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল আস্ত বাংলো। আগুনের গ্রাসে শেষ হয়ে গেল বাংলার পর্যটনের অন্য়তম ঐতিহ্য।
আরও পড়ুন, খড়গপুর IIT-তে ছাত্রের রহস্যমৃত্যু, CBI তদন্ত চেয়ে মমতাকে চিঠি অসমের মুখ্যমন্ত্রীর
বন দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ আগুন দেখতে পান এক কর্মী। দমকলের ২টি ইঞ্জিন পৌঁছনোর আগেই কাঠের তৈরি বাংলোর বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়। দিনের আলো ফুটতে দেখা গেল শুধুমাত্র পড়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ। বন দফতর সূত্রে খবর, ১৫ জুন হলং বন বাংলোয় শেষ বুকিং ছিল। বর্ষার জন্য সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ বাংলো। বন্ধ বাংলোর ৩ নম্বর ঘর থেকে আগুন ছড়ায়। AC-তে আগুন লেগে যাওয়ায় তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। হলং বাংলোয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিছকই কাকতালীয়? ১৬ তারিখ থেকে পর্যটক আসা বন্ধ থাকলে কীভাবে চলছিল AC? কেন ঘটনার পর সাংবাদিকরা সেখানে গেলে তাঁদেরকে ঢুকতে দেওয়া হল না? সেখানে কি বনফায়ারের আয়োজন করা হয়েছিল? আর এখানেই উঠে আসছে একগুচ্ছ প্রশ্ন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।