BJP: বানারহাটে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার বিজেপি নেতা, 'ফাঁসানো হয়েছে', দাবি অভিযুক্তের
BJP Leader Arrest With Arms: পুলিশ সূত্রে খবর, বানারহাটের নাথুয়ায় ধুপগুড়ি উত্তর পশ্চিম বিজেপি মন্ডল সভাপতির কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ির বানারহাটে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার বিজেপি নেতা। পুলিশ ও তৃণমূলের চক্রান্তে অস্ত্র দেখিয়ে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, দাবি অভিযুক্ত নেতার। ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
জলপাইগুড়ির বানারহাটে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার বিজেপি নেতা। চক্রান্ত করে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, পাল্টা দাবি করলেন অভিযুক্ত নেতা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে পুলিশি তৎপরতা। উদ্ধার হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র।
পুলিশ সূত্রে খবর, বানারহাটের নাথুয়ায় ধুপগুড়ি উত্তর পশ্চিম বিজেপি মন্ডল সভাপতির কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তাঁর কাছে ১টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২ রাউন্ড গুলি ও ১টি ভোজালি পাওয়া গেছে। এদিকে, বিজেপি নেতার দাবি, তাঁর দাদা তৃণমূল করেন। কিছুদিন ধরেই তাঁর সঙ্গে একটি জমি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ চলছিল।
এরপরই পুলিশ ও তৃণমূলের চক্রান্তে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয় তাঁকে। ধূপগুড়ির বিজেপি মণ্ডল সভাপতি মুকুল ঘোষ বলেন, "পারিবারিক গণ্ডগোল ছিল। দাদা মেরে পা ভেঙে দিয়েছিল। আমি অর্থ সঙ্কটে ভুগছিলাম, তাই দাদাকে জমি ফিরিয়ে দিতে বলেছিলাম। দাদা তৃণমূল করে। এক লিডারকে ফোন করে আইসি। কী কেস দেওয়া হবে জিজ্ঞেস করে। পরে আমাকে একটা পিস্তল, ২টো গুলি, ভোজালি দেখিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। গোটা চক্রান্তটাই পুলিশ ও তৃণমূলের।"
এই ঘটনায় তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। জলপাইগুড়ির তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক রাজেশ সিংহ বলেন, "বিজেপি বাংলাকে বারবার অশান্ত করার চেষ্টা করছে। এটা তার প্রমাণ। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি ধরা পড়েছে। আমরা পুলিশকে বলেছি। আরও বিজেপি নেতাদের কাছে অস্ত্র আছে সেগুলোকে উদ্ধার করতে হবে।"
অন্যদিকে, জলপাইগুড়ির বিজেপির সম্পাদক তপন রায় বলেন, "উনি একজন প্রাক্তন সার্ভিসম্যান। আত্মরক্ষার জন্য আর্মস রাখতেই পারেন। আমরা কখনও ওনাকে অস্ত্র নিয়ে দেখিনি। সাজানো ঘটনা। পুলিশ ও তৃণমূল ঘটনাটা সাজিয়েছে।" ধৃত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। সবমিলিয়ে, বিজেপি নেতার কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের অভিযোগ ঘিরে চরমে তরজা।