Jalpaiguri News: ভোররাতে সীমান্ত এলাকায় বিধ্বংসী আগুন, তড়িঘড়ি ভুটান থেকে দমকল ছুটে আসায় কিছুটা রক্ষে হল
Bhutan Border Fire: ভুটান থেকে চামুর্চির দূরত্ব মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। বানারহাট ব্লকে, ভুটান সীমান্তের চামুর্চি চেকপোস্টে আগুন লাগে ভোররাতে।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: গভীর রাতে আচমকা অগ্নিকাণ্ড। তাও আবার সীমান্তের চেকপোস্টে। তাকে ঘিরে হুলস্থুল কাণ্ড বাধল। ভস্মীভূত হয়ে গেল পর পর বেশ কয়েকটি দোকান (Bhutan Border Fire)। তবে ভুটান থেকে দমকলের ইঞ্জিন সঠিক সময়ে পৌঁছে যাওয়ায় কিছুটা সামাল দেওয়া গেল পরিস্থিতি। বড় ধরনের বিপত্তি এড়ানো গেল বলে মনে করছেন সকলে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় (Jalpaiguri News)।
ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আগুনকে নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলা সম্ভব হয়
বৃহস্পতিবার ভোররাতে ভুটান সীমান্ত সংলগ্ন চামুর্চি চেকপোস্টে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। বিধ্বংসী আগুনে পর পর তিনটি দোকান পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। তবে স্থানীয়রা সতর্ক ছিলেন, তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় ভুটানের দমকল বিভাগে। সেখান থেকে সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেও যায় দমকল বাহিনী। তাতেই ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আগুনকে নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলা সম্ভব হয়। তাতেই কিছুটা রক্ষে হয়েছে বলে মনে করছেন সকলে। শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা।
ভুটান থেকে চামুর্চির দূরত্ব মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। বানারহাট ব্লকে, ভুটান সীমান্তের চামুর্চি চেকপোস্টে আগুন লাগে ভোররাতে। ভোর ৪টে নাগাদ একটি দোকান থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রথমে জল ঢেলে নিজেরাই আগুন নেভাতে উদ্যোগী হন তাঁরা। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। বরং আশেপাশের দোকানেও ছড়াতে শুরু করে আগুন। তাতেই আর ঝুঁকি নেননি কেউ।
তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকল বিভাগে। স্থানীয় বাসিন্দারা ভুটান এবং ধূপগুড়ি দমকল কেন্দ্রে খবর দিলে ভুটান থেকে একটি ইঞ্জিন এসে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলে। তাতেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁদের দাবি, দমকল কেন্দ্র অনেক দূরে অর্থাৎ ধুপগুড়িতে থাকায় সময়মতো ইঞ্জিন এসে পৌঁছোতে পারে না অনেক সময়ই।
দেরি হলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারত বলে আশঙ্কা
দূরত্ব কম হওয়ায় তড়িঘড়ি ভুটান থেকে দমকল বাহিনী এসে পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। আগুন নিভতে নিভতে যদিও তিনটি দোকানের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কিন্তু আরও দেরি হলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারত বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। আগামী দিনে এমন পরিস্থিতি এড়াতে তাই বানারহাটে দমকল কেন্দ্র তৈরির দাবি তুলেছেন সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।