Jalpaiguri News: চা বাগান সংলগ্ন এলাকা থেকে চিতাবাঘের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য ডুয়ার্সে
Leopard News: পশ্চিম বাতাবারি এলাকাটির পাশেই রয়েছে বাতাবাড়ি চা বাগান। স্থানীয়দের অনুমান ওই চা বাগানেই ছিল চিতাবাঘটি।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: চা বাগান সংলগ্ন জনবসতি এলাকা থেকে পূর্ণ বয়স্ক চিতাবাঘের (Leopard) ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার। ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম বাতাবারি এলাকার ঘটনা। ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়।
চিতাবাঘের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার: স্থানীয় সূত্রে খবর, চা বাগান সংলগ্ন ফাঁকা জায়গায় ওই চিতা বাঘের দেহ দেখা যায়। খবর দেওয়া হয় বন দফতরের খুনিয়া স্কোয়াডকে। বনকর্মীরা এসে চিতা বাঘের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সূত্রের খবর, চিতা বাঘের পেটে ও মাথাতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পশ্চিম বাতাবারি এলাকাটির পাশেই রয়েছে বাতাবাড়ি চা বাগান। স্থানীয়দের অনুমান ওই চা বাগানেই ছিল চিতাবাঘটি। এর আগেও রাতের অন্ধকারে এলাকায় চিতা বাঘ এসে ছাগল, মুরগি তুলে নিয়ে গিয়েছিল। খুনিয়া স্কোয়াডের রেঞ্জার সজল কুমার দে জানান, “চিতাবাঘটির দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’’
এদিকে সুন্দরবনে বারবারই লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বাঘ। কখনও কুলতলি তো কখনও পাথরপ্রতিমা, আতঙ্কে সুন্দরবন লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা। বন দফতর জানাচ্ছে, গত বছর শীতের মরসুমে সুন্দরবনে একটাও বাঘ লোকালয়ে ঢোকেনি। কিন্তু এবার ডিসেম্বরে ছবিটা একেবারে অন্যরকম। চলতি মাসে লোকালয়ে চলে এসেছে ৩টি বাঘ। গত একমাস ধরে পাথরপ্রতিমায় গ্রামবাসীদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে বাঘের আতঙ্ক। চাষবাস, নদীতে মাছ, কাঁকড়া ধরাও বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁরা। টায়ার, মশাল জ্বালিয়ে চলছে রাত-পাহারা। বন দফতর খাঁচা পাতলেও,পাথরপ্রতিমায় ধরা দেয়নি রয়্যাল বেঙ্গল।
চলতি মাসেই কুলতলির মৈপীঠের গৌড়ের চক গ্রামে বাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। লোকালয়ে মিলছিল পায়ের ছাপ। তাতে রাতের ঘুম উড়েছিল গ্রামবাসীদের। এরপর খাঁচা পাতে বন দফতর। যদিও সবাইকে ফাঁকি দিয়ে রাতে খাঁচা পর্যবেক্ষণ করেই গা ঢাকা দিয়েছিল সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। খাঁচার আশপাশে মেলে তার পায়ের ছাপ। তিনদিন ধরে লুকোচুরি খেলা শেষে গ্রামে দেখা মেলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। একসময় বন কর্মীদের দিকে তেড়েও আসেন দক্ষিণরায়। প্রাণ বাঁচাতে গাছে উঠে পড়েন বন কর্মীরা। তবে শেষপর্যন্ত বাজি ফাটিয়ে, টিন বাজিয়ে, বাঘকে তাড়া করেন তাঁরা। মাকরি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে, আজমলমাড়ি তিন নম্বর জঙ্গলে ফিরে যায় রয়্যাল বেঙ্গল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।