Jalpaiguri News: ভোর রাত থেকে অবিরাম বৃষ্টি, ধূপগুড়ি সহ ডুয়ার্সে বিপর্যস্ত জনজীবন
ধূপগুড়ি থেকে ফালাকাটায় (Falakata) ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের মায়েরথান কালীবাড়ি মোড় এলাকায় রাস্তার দু পাশে জল জমে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারী থেকে ব্যবসায়ীরা।

রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ভোর রাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টি। আর তার জেরে ধূপগুড়ি (Dhupguri) সহ ডুয়ার্সে (Dooars) বিপর্যস্ত জনজীবন। অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে শহরবাসী।
বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার অভিযোগ: বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার (Drainage system) ফলে প্রতিবছর বর্ষাকালে সমস্যায় পড়তে হয় শহরবাসীকে। ধূপগুড়ি (Dhupguri) থেকে ফালাকাটায় (Falakata) ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের মায়েরথান কালীবাড়ি মোড় এলাকায় রাস্তার দু পাশে জল জমে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারী থেকে ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের দাবি জল জমার জেরে কোনও ক্রেতাই কেনাকাটা করতে দোকানে আসেননি। তাঁদের দাবি, বৃষ্টি পড়লেই এটা ওই এলাকার চেনা ছবি হয়ে উঠেছে। অভিযোগ, পুর কর্তৃপক্ষকে সমস্যার কথা জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। জল নিকাশি ব্যবস্থা উন্নতি করার ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ। আশঙ্কা এবার বর্ষাতেও সমস্যার মধ্যে পড়বে শহরবাসী।
বৃষ্টির পূর্বাভাস: গোটা মার্চ মাসজুড়ে বৃষ্টি হয়নি রাজ্যে। এরইমধ্যে গতকালই স্বস্তির কথা শোনায় আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস জানায়, বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গে। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সেখানকার ৫ জেলায়। হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণে বৃষ্টি হতে পারে বীরভূম, মুর্শিদাবাদেও। সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী ভোর রাত থেকেই বৃষ্টি হয় জলপাইগুড়ির জেলার একাধিক জায়গায়।
গরমে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গ: এদিকে চৈত্রেই তীব্র গরমের অশনি সঙ্কেত দক্ষিণবঙ্গে। আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে, গতকাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাল, আগামী ৫ দিনেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। গরমের সঙ্গে জলীয় বাষ্প বাড়ায় আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তিও বাড়বে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ ছিল তাপমাত্রা ৩৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে কীভাবে সুস্থ রাখবেন, তা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিত্সকরা। চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস জানিয়েছেন, "এই সময় কি কি রোগ বেশি হচ্ছে, ডায়েরিয়া, হৃদরোগ, জল খেতে বলেছে। কোল্ড ডিঙ্ক খাবেন না। সরবত খান।''






















