Jalpaiguri News: 'উদ্ধারকার্যে এগিয়ে এসেছেন বিজেপি কার্যকর্তারাও', হড়পা বানকাণ্ডে শোকপ্রকাশ দিলীপ-সুকান্ত-র
Dilip Sukanta on Harpa Ban : মালবাজারের হড়পা বানকাণ্ডে শোকপ্রকাশ করেছেন দিলীপ ঘোষ এবং সুকান্ত মজুমদার।
কলকাতা: প্রতিমা বিসর্জনের সময় হঠাৎই জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মালবাজারের মাল নদীতে হড়পা বান ( Harpa Ban incident)। জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ আরও অনেকে। আশঙ্কা, আরও বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা। এই ঘটনার পর শোকপ্রকাশ করেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
ফেসবুক পোস্ট করে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'দেবীর গমনের দিন বিষাদের পরিবেশ। জলপাইগুড়ির মালবাজারের মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় হড়পা বানে নিখোঁজ প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন। উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছেন বিজেপি কার্যকর্তারাও। মৃতদের আত্মার সদগতি কামনা করি ও হতভাগ্য পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। মা মহামায়ার কাছে প্রার্থনা করি, বাকিরা যেনও সুস্থ ও অক্ষত থাকেন।' পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, সাধারণ মানুষের পাশে থেকে উদ্বারকার্যে বিজেপি কার্যকর্তাও এগিয়ে এসেছেন। মৃতদের আত্মাদের সদগতি কামনা করি, মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা করি বাকিরা যেনও সুস্থ থাকেন।'
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে ১০ বছরের এক বালিকা রয়েছে। গতকাল মাঝরাত পর্যন্ত চলে উদ্ধারকাজ। তারপর প্রবল বৃষ্টির জেরে উদ্ধারকাজ সাময়িক বন্ধ হয়। আজ সকালে নদীর বিভিন্ন অংশে চালানো হবে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, ৭০টি প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আনা হয়েছিল। তার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০টি প্রতিমা বিসর্জনের পরই বিপর্যয় ঘটে। জলপাইগুড়ির মাল নদীতে গতকাল প্রতিমা বিসর্জনের সময় ৮ জন সিভিল ডিফেন্সের কর্মী ছিলেন ঘটনাস্থলে। সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মী জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে দড়ি ছাড়া কিছু ছিল না। বিপর্যয় যখন ঘটে, তখন যদি সিভিল ডিফেন্সের আরও কর্মী থাকতেন, তাহলে দ্রুত উদ্ধারকাজ করা যেত বলে তাঁর দাবি।
আরও পড়ুন, বিসর্জন দেওয়া প্রতিমার কাঠামোয় আটকে যাওয়া দেহ উদ্ধার, ফের শোকের ছায়া বাবুঘাটে
এই বিপর্যয় নিয়ে স্থানীয় সূত্রে একটা সম্ভাবনার কথাও বলা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে দাবি, নদীখাতে আগেই বোল্ডার ফেলা হয়েছিল, যাতে, যেদিকে বিসর্জন হবে, সেদিকে বেশি জল থাকে। হড়পা বানের সময় তা হিতে বিপরীত হয়েছে। যেখানে বিসর্জন হচ্ছিল, সেদিকেই প্রবল স্ত্রোত এসে সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। কয়েকদিন আগেই এই নদীতে হড়পা বান হয়। তারপরও কেন বিসর্জনের সময় বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্ন উঠছে।