Jalpaiguri News: ডুয়ার্সে বাড়ির সামনেই খেলছিল কিশোর, আচমকাই ঝাঁপিয়ে পড়ল চিতাবাঘ ! টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল ভিতরে..
Jalpaiguri Tiger Attack : ডুয়ার্সের নাগ্রাকাটায় ফের চিতাবাঘের হামলায় মৃত্যু এক কিশোরের !

রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : ডুয়ার্সের নাগ্রাকাটায় ফের চিতাবাঘের হামলায় মৃত্যু এক কিশোরের ! পরিবারের দাবি, আজ ভর সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে থেকেই ১২ বছরের এক পড়ুয়াকে তুলে নিয়ে যায় চিতাবাঘ। ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের বানারহাট থানার অন্তর্গত কলাবাড়ি এলাকায়।
আরও পড়ুন, RG কর মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ
মৃত কিশোরের নাম কারিমুল হক ওরফে আলামিন, কলাবাড়ি হাই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। পরিবারের অভিযোগ, সন্ধ্যের পর বাড়ির সামনেই খেলছিল আলামিন। সেই সময় হঠাৎ চিতাবাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে টেনে হিচড়ে নিয়ে যায় চিতা বাঘ। কিছুক্ষণ পরই এলাকায় রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় একের পর এক চিতাবাঘের উপদ্রব হলেও বন দফতর কার্যকরী ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে দিন দিন ভয় ও ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। ঘটনার খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে আসেন জলপাইগুড়ির সহকারী জেলা সহকারী বনাধিকারিক রাজীব দে, বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের কর্মী এবং ডায়না রেঞ্জের বনকর্মীরা।
চিতাবাঘ আতঙ্কে গ্রামবাসীর রাতের ঘুম এখন কার্যত উধাও।তাদের দাবি, বন দপ্তর অবিলম্বে এলাকায় চিতাবাঘ ধরার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। জলপাইগুড়ি সহকারী বনাধিকারিক বনাধিকারিক রাজীব দে জানিয়েছেন, আমাদের কাছে খবর এসেছে চিতা বাঘের হামলায় এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এলাকায় বনকর্মীরা যাচ্ছেন, মৃত দেহ হাতে পেলে বোঝা যবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে।
অপরদিকে, রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের হামলার ঘটনায় এখনও যবনিকা পড়েনি। একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে সুন্দরবনে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হামলায় প্রাণ হারাচ্ছেন মৎসজীবীরা। কখনও লুকিয়ে বন দফতরের নিষেধ অমান্য করে গভীর জঙ্গলে পেটের জ্বালায়, কখনও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রোজগারের আশায় পাড়ি দেয় মৎসজীবীদের দল। আর সেটাই কাল হয়ে যায় মৎসজীবীদের জন্য। তবে অনেকক্ষেত্রে এমন ঘটনাও ঘটে, যে বাঘের হামলার পরে এমন অনেকসময়ই আসে, যেখানে দেহর হদিশ পায় না পরিবার।
সেক্ষেত্রে মৃত্যু হয়েছে কি হয়নি, যেমন বোঝা দায় হয়ে ওঠে, তেমনই মৎসজীবীর পরিবারের জীবন জর্জরিত হয়ে ওঠে। তবে এই বাইশ সালের বুকেই একাধিক বাঘের হামলা ঘটেছে। যেখানে কাঁকড়া শিকার করতে গিয়ে মাঝ নদীতে ডিঙি নৌকার উপর আক্রমণ করেছে বাঘ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সঙ্গীরা নৌকার বৈঠা নিয়েও পাল্টা আক্রমণ করার ঘটনা ঘটেছে। বাঘ সেই মুহূর্তে পালিয়ে গেলেও প্রথম আক্রমণে এতটাই ঘায়েল হয়ে যায়, আক্রান্ত মৎসজীবী যে, প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয় না। তবে এখনও আশার উপর ভর করেই এগিয়ে চলছে আক্রান্তের পরিবার।






















