Jalpaiguri: DA ধর্মঘটে সামিল হওয়ায়, প্রধান শিক্ষিকাকে হুমকি! অভিযোগ তৃণমূলের শিক্ষক-নেতার বিরুদ্ধে
অভিযোগ, তাঁকে কটূক্তি করেন তৃণমূলের ওই শিক্ষক-নেতা। এই নিয়ে দু’পক্ষই জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

শিলিগুড়ি: DA ধর্মঘটে সামিল হওয়ায়, প্রধান শিক্ষিকাকে স্কুলে ঢুকতে বাধা, অশালীন ভাষায় হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) শিক্ষক-নেতার বিরুদ্ধে। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের সুনীতিবালা গার্লস হাইস্কুলের ঘটনা। প্রধান শিক্ষিকার দাবি, শুক্রবার ধর্মঘটের দিন স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে থাকার সময় সেখানে হাজির হন তৃণমূ (TMC)। শিক্ষা সেলের নেতা অঞ্জন দাস। অভিযোগ, তাঁকে কটূক্তি করেন তৃণমূলের ওই শিক্ষক-নেতা। এই নিয়ে দু’পক্ষই জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
তৃণমূলের শিক্ষক-নেতার পাল্টা দাবি, দলীয় সংগঠনের হয়ে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকায় স্কুলে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল, উল্টে তাঁকেই ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হয় বলে পাল্টা দাবি করেছেন তৃণমূলের শিক্ষক-নেতা। বিজেপির কটাক্ষ, নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে রেহাই পাবেন না তৃণমূলের ওই শিক্ষক-নেতাও। এই নিয়ে শাসকদলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
DA ধর্মঘটের দিন দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে এক প্রধান শিক্ষিকাকে চাকরি কাড়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতা ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দেওয়া দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ঘাড় ধাক্কা খেতে হয়েছে, শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুললেন শাসক-নেতা। এনিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি।
শুক্রবার DA ধর্মঘট ঘিরে ধুন্ধুমার বেধেছিল জলপাইগুড়ির সুনীতিবালা সদর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। সেই জল এবার গড়াল থানা পর্যন্ত। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন প্রধান শিক্ষিকা ও তৃণমূল নেতা। প্রধান শিক্ষিকার দাবি, সোমবার স্কুলে পৌঁছলেও গন্ডগোলের জেরে তিনি গেটেই আটকে গিয়েছিলেন। তার মধ্যেই তৃণমূল নেতা, দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে তাঁর চাকরি কেড়ে নেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ।
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ,সেই অঞ্জন দাস তৃণমূলের শিক্ষা সেলের জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির আহ্বায়ক এবং জলপাইগুড়ির একটি স্কুলের শিক্ষকও। তৃণমূল নেতার দাবি, তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের জলপাইগুড়ি জেলার জয়েন্ট কনভেনর হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। সেই সংক্রান্ত কাজের জন্য তিনি শুক্রবার স্কুলে গেলে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
জলপাইগুড়ির তৃণমূল শিক্ষা সেলের জেলা সভাপতি অঞ্জন দাস এ প্রসঙ্গে বলছেন, আমি বলেছিলাম ভিতরে যান ক্লাস করান। প্রধান শিক্ষিকাকে বলি পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা আছে। আমাকে ঢুকতে দেননি। ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। একজন শিক্ষক হয়ে আরেকজন শিক্ষিকার প্রতি এমন অভব্য আচরণ কীভাবে করলেন? প্রশ্ন তুলে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি।
প্রধান শিক্ষিকা ও তৃণমূল নেতা দুজনই একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। শনিবার একের পর এক স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় DA'র দাবিতে ধর্মঘটে অংশ নেওয়া শিক্ষকদের। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এবার এক শিক্ষক ও তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষিকাকে হেনস্থার অভিযোগ সামনে এল।






















