Jhalda Murder : "তপন কান্দু খুনের পর কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ?", ঝালদার আইসি-কে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের
Jhalda Murder : প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর আইসি-র বয়ান এবং বাকি অভিযুক্ত এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান মিলিয়ে দেখা হয়
ঝালদা : "তপন কান্দু (Tapan Kandu) খুনের পরে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল?" ঝালদায় (Jhalda) কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় আইসি সঞ্জীব ঘোষের কাছে জানতে চাইল সিবিআই। এমনই খবর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের। আজ দফায় দফায় আইসিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সকালে সাড়ে ৩ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর ফের তাঁকে তলব করে সিবিআই।
ঝালদা থানার আইসির বিরুদ্ধেই একাধিক অভিযোগ রয়েছে কান্দুর পরিবারের। তাই এখন সিবিআইয়ের নজরে ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ। আজ তাঁকে দুই দফায় জিজ্ঞাসাবাদে করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। প্রথম দফায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর দেড়টা নাগাদ ছেড়ে দেওয়া হয়। বিকেল ৫টায় আবার ডাকা হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন ; তপন কান্দু খুনে সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখে ঝালদার আইসি
প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর আইসি-র বয়ান এবং বাকি অভিযুক্ত এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান মিলিয়ে দেখা হয়। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাঁকে আরও এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। ৫টা বাজার ৫ মিনিট আগে দ্বিতীয় দফায় আবার সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে চলে আসেন আইসি।
মূলত, তপন কান্দু হত্যার খবর তিনি কীভাবে পেলেন, কোন সময়ে পেলেন বলে জানতে চাওয়া হয়। তপন কান্দু খুনের পরে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল? কাছেই নাকা পয়েন্ট, তাও কেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলে যায়নি পুলিশ ? কান্দু-পরিবারের দেওয়া অডিও ক্লিপের কণ্ঠস্বর কী আইসির ? একাধিক বিষয়ে ঝালদা থানার আইসিকে প্রশ্ন করা হয়। এমনই খবর সিবিআই সূত্রের।
কে গ্রেফতার?
এদিকে ঝালদাকাণ্ডের (Jhalda) তদন্তে বুধবার সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেফতার (arrest) হয়। গ্রেফতার করা হয়েছে ব্যবসায়ী সত্যবান প্রামাণিককে। ধৃত নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের দাদা নরেন কান্দুর (Naren Kandu) ব্যবসার অংশীদার। ওই ব্যবসায়ীর ধাবায় বসেই খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে সিবিআইয়ের দাবি। সিটের তরফে সত্যবানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। যদিও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগে কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে ধৃত আর এক ব্যবসায়ী আসিক খানের মেয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ঝাড়গ্রামে তাঁর মেয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৫২ হাজার টাকা। খুনের সুপারি বাবদ যে টাকা লেনদেন হয়েছে, ওই টাকা তারই ভাগ বলে দাবি সিবিআইয়ের।