Jharkhand MLA: হাওড়া নোটকাণ্ডে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে সিআইডি তদন্ত, কেন?
High Court News: নির্দিষ্ট আদালত থাকা সত্ত্বেও কীভাবে নিম্ন আদালতে পেশ করা হয়েছে ধৃতদের? প্রশ্ন হাইকোর্টের।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: হাওড়া নোটকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) তিন বিধায়ক। ওই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি (CID)। এবার ওই তদন্তে হাইকোর্টের প্রশ্নের সামনে পড়ল সিআইডি (CID)।
কী প্রশ্ন হাইকোর্টের?
- নির্দিষ্ট আদালত থাকা সত্ত্বেও কীভাবে নিম্ন আদালতে পেশ করা হয়েছে ধৃতদের? প্রশ্ন হাইকোর্টের- (High Court)।
- এরপরে আজই, ঝাড়খণ্ডের ৩ বিধায়ককে দুর্নীতি দমন আইনের জন্য নির্দিষ্ট বিশেষ আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
- হাওড়া নোটকাণ্ডে দুর্নীতিদমন আইনে মামলা হয়েছে। এই আইনের জন্য বিশেষ আদালত থাকা সত্ত্বেও মামলার শুনানি কীভাবে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে হচ্ছে? সেই প্রশ্ন তোলা হয় হাইকোর্টের তরফে।
- হাওড়ায় ঝাড়খণ্ডের ৩ বিধায়কের গাড়ি থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছিল। সেই মামলাতেই হাইকোর্টে বিপাকে পড়েছে সিআইডি। তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
- বৃহস্পতিবার বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে এই মামলার শুনানি হচ্ছে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে? চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এক্তিয়ারই নেই এই মামলা শোনার। তিনি কীভাবে শুনছেন এই মামলা?
- চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাস থেকে দু'-দু'বার কীভাবে অভিযুক্তদের হেফাজতে নিল সিআইডি?
আরও ধারার যোগ:
অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের গ্রেফতারি মামলায় নিম্ন আদালতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৭ অর্থাৎ জালিয়াতির ধারা যুক্ত করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে CID। জালিয়াতির ধারায় সাজার সর্বোচ্চ মেয়াদ ১০ বছর। এতদিন পর্যন্ত যে যে ধারায় মামলা চলছিল, তাতে সাজার সর্বোচ্চ মেয়াদ ছিল ৭ বছর। শুনানি হচ্ছিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চে। নতুন ধারা যুক্ত হলে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি।
আগে যা হয়েছে?
হাওড়ার পাঁচলায় টাকার গাড়ি সহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক। গাড়িতে মিলেছিল ৪৯ লক্ষ টাকা। ৪৯ লক্ষ টাকার উৎস কী? কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এই টাকা? খতিয়ে দেখা শুরু করেছিলেন তদন্তকারীরা। এই টাকা কি বিধায়ক-কেনাবেচার টাকা? উঠেছে এমন অভিযোগও। এই ঘটনায় ভিনরাজ্যে গিয়ে তদন্ত করেছে সিআইডি। যদিও সেই তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে বারবার। হাওড়়ার নোট উদ্ধারের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।