ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের বান্ডিল বান্ডিল ৫০০’র নোটের রহস্য কী ? কী সামনে এল হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে?
Jharkhand MLAs arrested : সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সামনে এসেছে। জানা যাচ্ছে, রেজিস্টারে নাম না লিখেই হোটেলে ঢুকেছিলেন তাঁরা।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা-সহ হাওড়ায় গ্রেফতার হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক ( Jharkhand MLAs arrested )। শনিবার দুপুরে কলকাতার সদর স্ট্রিটের যে হোটেলে ঝাড়খণ্ডের ওই বিধায়করা গিয়েছিলেন, সেই সময়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সামনে এসেছে। জানা যাচ্ছে, রেজিস্টারে নাম না লিখেই হোটেলে ঢুকেছিলেন তাঁরা।
কলকাতায়, পর পর উদ্ধার হচ্ছে টাকা! বান্ডিল বান্ডিল ৫০০’র নোট-সহ শনিবার বিকেলে হাওড়ায় জাতীয় সড়কে ধরা পড়েন ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক! এই অবস্থায় কোথা থেকে তাঁরা এত টাকা পেলেন? কে দিল? ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার জোট সরকার ফেলার জন্যই কি এই টাকা দেওয়া হয়েছিল?
নেপথ্যে কি বিজেপি?
নেপথ্যে কি বিজেপি? এ’সব প্রশ্নেই এখন সরগরম রাজনীতি। তাঁরা সদর স্ট্রিটের হোটেল ওয়ালসনে উঠেছিলেন। কিন্তু, রেজিস্টারে তাঁদের নাম ছিল না। সূত্রের খবর, শনিবার দুপুর ৩টে ৮ মিনিটে হোটেলের ১০৬ নম্বর ঘরে ঢোকেন ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক। ৩টে ১৪ মিনিটে বেরিয়ে যান।
হোটেলে এসে সেই CCTV ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। CID সূত্রে খবর, এরপর হোটেলের পানশালায় ঢোকেন কংগ্রেস বিধায়করা। সেই সময় বিধায়কদের এক সঙ্গী স্কুটার নিয়ে বেরিয়ে যান। সূত্রের খবর, তিনি স্কুটার নিয়ে লালবাজারের উল্টোদিকে এক ব্যবসায়ীর কাছে যান। এবং তাঁর কাছ থেকে টাকা নেন। তদন্তকারীদের অনুমান, এই ব্যবসায়ী হাওয়ালার সঙ্গে জড়িত!
অন্যদিকে, হোটেলের রেজিস্টারে নাম না থাকলেও, হোটেলের পার্কিংয়ের রেজিস্টারে উল্লেখ রয়েছে, শনিবার দুপুর ৩টে ১০-এ ঢুকেছিল ঝাড়খণ্ডের বিধায়কের বোর্ড লাগানো গাড়ি। বিকেল ৩টে ৫০-এ হোটেল থেকে গাড়ি বেরিয়ে যায়। পরে, হাওড়ার পাঁচলায় গাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা!
CID সূত্রে খবর, ওই ব্যবসায়ীর খোঁজ এখনও মেলেনি। তাঁর এক আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। JMM-কংগ্রেস জোট সরকার ফেলতেই টাকা নিয়েছিলেন, হাওড়ায় ধৃত ঝাড়খণ্ডের ধৃত তিন কংগ্রেস বিধায়ক। CID সূত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে। যদিও, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধৃত তিন কংগ্রেস বিধায়ক। তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
CID সূত্রে দাবি, তদন্তে উঠে এসেছে, ঝাড়খণ্ডে JMM-কংগ্রেস জোট সরকার ভাঙার খরচ হিসেবেই এই টাকা দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেস বিধায়কদের। ধৃত বিধায়করা জেরায় জানিয়েছেন, ' ঝাড়খণ্ডে JMM-কংগ্রেস জোট সরকার থাকবে না। সরকার পড়ে যাবে। '