Jadavpur University: ছাত্রমৃত্যুতে উত্তাল পরিস্থিতি, নয়া উপাচার্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, গণিতের অধ্যাপককে দায়িত্ব
JU Student Death: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতের অধ্যাপক বুদ্ধদেববাবু।
কলকাতা: পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। তার মধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্যের নিয়োগ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হলেন বুদ্ধদেব সাউ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) গণিতের অধ্যাপক বুদ্ধদেববাবু। শনিবার রাতে তাঁর নিয়োগের কথা জানাল রাজভবন। (Raj Bhavan)
শনিবার রাতে নয়া উপাচার্য নিয়োগের ঘোষণা করল রাজভবন
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুতে ব়্য়াগিংয়ের তত্ত্ব উঠে আসছে। সবমিলিয়ে ১২ জন গ্রেফতার হয়েছেন এখনও পর্যন্ত। কিন্তু নিরাপত্তা-সহ একাধিক বিষয়ে লাগাতার সিদ্ধান্তহীনতার অভিযোগ উঠে আসছিল। সেই আবহেই শনিবার রাতে নয়া উপাচার্য নিয়োগের ঘোষণা করল রাজভবন। (JU Student Death)
যাদবপুরের ঘটনায় এর আগেই পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছিলেন আচার্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনে আধিকারিকদের নিয়ে একদফা বৈঠকও করেন তিনি। কিন্তু তার পরও সিদ্ধান্তে গড়িমসির অভিযোগ উঠছিল। সেই আবহে কয়েক দিন আগেই রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন শীঘ্রই উপাচার্য নিয়োগ করা হবে বলে। বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে শীঘ্রই, জানিয়েছিলেন। সেই মতোই সিদ্ধান্ত গৃহীত হল। রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হল বুদ্ধদেববাবুকে।
যাদবপুরে পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার দফায় দফায় জেরার পর গ্রেফতার করা হয়েছে আরও এক প্রাক্তনীকে। ধৃতের নাম জয়দীপ ঘোষ। যাদবপুরের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিভাগের প্রাক্তনী তিনি। ঘটনার রাতে গেট বন্ধ করে হস্টেলে পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। কর্তব্যরত পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ১২
পুলিশ সূত্রে খবর, ৯ অগাস্ট রাতে তিন তলার করিডর থেকে ছাত্রের পড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে হস্টেলে পৌঁছে যায় পুলিশ। কিন্তু
বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের মেন গেট বন্ধ থাকায় ভিতরে ঢুকতেই পারেনি পুলিশ। ডাকাডাকিতেও খোলা হয়নি তালা। এর পর বাইরেই দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করে পুলিশ। পরে মধ্যরাতে হস্টেল থেকে হলুদ ট্যাক্সি বেরোতে দেখে সন্দেহ জাগে। তার পিছু নিয়ে কেপিসি হাসপাতালে পৌঁছয় পুলিশ। সেখানে গিয়েই ছাত্রমৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ।