Recruitment Scam: 'মেধাতালিকা প্রকাশ পেলেই তো..', SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিস্ময়প্রকাশ বিচারপতির
Recruitment Scam Case Hearing: SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কী প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক ?
কলকাতা: 'মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হবে, আর আদালত হস্তক্ষেপ করলেই এক্তিয়ার বহির্ভূত বিষয়!', এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (SSC Recruitment Scam) চূড়ান্ত শুনানিতে বিস্ময়প্রকাশ বিচারপতি দেবাংশু বসাকের (Justice Debanshu Basak)।
'মেধাতালিকা বা প্যানেল প্রকাশ পেলে কীভাবে কারও সম্মানহানি হতে পারে?'
'তদন্ত বিলম্বিত করার জন্য অনেক কিছু করা হয়েছে। মেধাতালিকা যাতে প্রকাশ না হয় তার জন্য অসদুপায়ে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন', আদালতে সওয়াল আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর। 'যিনি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নেন, তিনি জানেন মেধাতালিকা প্রকাশিত হবে। মেধাতালিকা বা প্যানেল প্রকাশ পেলে কীভাবে কারও সম্মানহানি হতে পারে?', প্রশ্ন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের।'মেধাতালিকা প্রকাশ পেলেই তো সবাই সবার নম্বর দেখতে পাবেন, সত্যিটা সামনে চলে আসবে, তাই এত অসুবিধা। ঘোষিত শূন্যপদের থেকে বেশি চাকরি দেওয়া হয়েছে, বেআইনি ভাবে অতিরিক্ত শূন্য পদের মাধ্যমে চাকরি বিক্রি হয়েছে। মূল অফিস থেকে না দিয়ে অন্য অফিস থেকে ভুয়ো সুপারিশপত্র দিয়ে সুপরিকল্পিত দুর্নীতি হয়েছে', সংরক্ষিত আসন নিয়েও দুর্নীতি হয়েছে, আদালতে সওয়াল আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর।
নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে, OMR শিটে কারচুপির অভিযোগ
প্রসঙ্গত, স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে, OMR শিটে কারচুপির অভিযোগ বারবার উঠেছে। SSC-র নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে যেমন নাম জড়িয়েছিল OMR শিট মূল্যায়নকারী সংস্থা নাইসা-র (NYSA)। গ্রেফতার হয়েছিলেন সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রি দাস। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের জালে OMR ডেটা প্রসেসিং সংস্থার প্রোগ্রামারও। নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের পর পার্থ সেনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তদন্তে অসহযোগিতার কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি।এস এন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির প্রোগ্রামার ছিলেন পার্থ সেন। আগেও একাধিকবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তাঁর হাওড়ার জগাছার বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন, জেলে অনুব্রত, জয়দেব মেলার প্রবেশ গেটে তাঁর ছবি ঘিরে বিতর্ক
সিবিআই সূত্রে দাবি, প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে 'Key Person' ছিলেন পার্থ সেন। বহু অযোগ্য প্রার্থীর চাকরি পাওয়ার নেপথ্য়ে তাঁর মুখ্য ভূমিকা ছিল। সিবিআই সূত্রে দাবি, এরকম ৭৫২ জন অযোগ্যদের তালিকা তৈরি করেছিলেন পার্থ সেন। যাঁদের মধ্যে চাকরি পেয়েছেন ৩০০ জন। দক্ষিণ কলকাতার সংস্থা এস বসু রায় অ্য়ান্ড কোম্পানি। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলাতে ইতিমধ্যেই আতসকাচের তলায় এসেছিল এই সংস্থা। এই সংস্থার পার্টনার কৌশিক মাজিকে নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল CBI।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
and tablets