Kolkata Air Pollution: শব্দবাজির দাপট দীপাবলির রাতে, দূষণে ত্রাহিরব শহর কলকাতার বলছেন পরিবেশবিদরা
Kolkata News: বেশিরভার মনিটরিং স্টেশনের তথ্য অনুযায়ী কলকাতার বাতাসের গুণমান ১৫১-২০০-র মধ্যে ছিল।
কলকাতা: শহরজুড়ে দেদার ফাটল শব্দবাজি। একইসঙ্গে আতসবাজির রোশনাই। আরকালীপুজোর রেশ কাটতেই দূষণ নিয়ে শঙ্কা। সূত্রের খবর, শব্দ এবং বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে রেকর্ড করেছে কলকাতা, খবর সংবাদ সংস্থা IANS সূত্রে।
দূষণ নিয়ে শঙ্কা: বেশিরভার মনিটরিং স্টেশনের তথ্য অনুযায়ী কলকাতার বাতাসের গুণমান ১৫১-২০০-র মধ্যে ছিল। যা লাল বা অস্বাস্থ্যকর বলে ধরা হয়। এতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়তে পারে। ইতিমধ্যেই যাঁরা অসুস্থ তাঁদের উপর প্রভাব আরও মারাত্মক হতে পারে। এই বাতাসের গুণমান অস্বাস্থ্যকর হলে তা বয়স্ক নাগরিক, শিশু এবং শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে এমন কারও পক্ষে বিপজ্জনক। পরিবেশবিদদের মতে এই সময় দীর্ঘক্ষণ বাইরে না থাকাই ভাল। কলকাতার পাশাপাশি সল্টলেক এবং হাওড়াতেও বাতাসের গুণমান ছিল অস্বাস্থ্যকর।
একইসঙ্গে শব্দবাজি ফাটানো হয়েছে দেদার। শব্দবাজি নিয়ন্ত্রণে কলকাতা পুলিশের কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। গড় শব্দের মাত্রা বৃহস্পতিবার রাতে অনুমোদিত সীমার চেয়ে ২২ ডেসিবল বেশি ছিল। দক্ষিণ কলকাতা কসবা এলাকায় সবথেকে বেশি যন্ত্রণা দিয়েছে শব্দবাজি। বৃহস্পতিবার রাতে শব্দের গড় মাত্রা ছিল ১০৪.৬ ডেসিবল। যা অনুমোদিত সীমার চেয়ে বেশি। এমনকী হাসপাতাল চত্বরেও শব্দ দানবের ত্রাস লক্ষ করা গিয়েছে। সকালে ৫০ ডেসিবেল এবং রাতে ৪০ ডেসিবেলের থেকে অনেক বেশি ছিল শব্দের মাত্রা। বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে SSKM হাসপাতাল চত্বরে শব্দের মাত্রা ছিল ৫৮.২ ডেসিবেল। আরজি কর হাসপাতল চত্বরে তা আরও বেশি মাত্রায় ছিল। শব্দের সর্বোচ্চ মাত্রা পৌঁছয় ৭২.৭ ডেসিবেলে। যা অনুমোদিত মাত্রার থেকেও অনেক বেশি।
সংবাদ সংস্থা IANS সূত্রে খবর, এর আগে অবশ্য কলকাতা পুলিশ জানিয়েছিল আবাসিক এলাকা এবং হাসপাতালে শব্দবাজি ফাটানো বন্ধ করতে আরও বেশি সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে। কিন্তু বাস্তবে শহরের সিংহভাগ অঞ্চলে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।