Kanchanjunga Express Train Accident News: দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে ছিল না LHB কোচও! প্রশ্নে যাত্রী সুরক্ষা
Kanchanjunga Express Train Accident: দুর্ঘটনাগ্রস্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে কোচও সেই মান্ধাতা আমলের ICF কোচ। আর তার নিট ফল, প্রাণহানি। ফাঁসিদেওয়ায় ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে এর দায় কার?
কলকাতা: ছিল না অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস বা 'কবচ'। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে (Kanchanjunga Express Train Accident) ছিল না LHB কোচও। ফাঁসিদেওয়ায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে এসে মালগাড়ি ধাক্কা মারার পরই, চাইনচ্যুত হয় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ৪টি বগি। ছিটকে পাশের লাইনে গিয়ে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের একটি জেনারেল বগি।
প্রশ্নে যাত্রী সুরক্ষা: দুর্ঘটনাগ্রস্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে কোচও সেই মান্ধাতা আমলের ICF কোচ। আর তার নিট ফল, প্রাণহানি। ফাঁসিদেওয়ায় ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে এর দায় কার? ফাঁসিদেওয়ার নিজবাড়ি ও চটেরহাট স্টেশনের মাঝে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে এসে মালগাড়ি ধাক্কা মারার পরই, চাইনচ্যুত হয় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ৪টি বগি। দুমড়ে-মুচড়ে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ডের কামরা। মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপর উঠে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পার্সেল ভ্যান। ছিটকে পাশের লাইনে গিয়ে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের একটি জেনারেল বগি।
২০০০ সাল থেকেই এই LHB কামরা ব্যবহার করছে ভারতীয় রেল৷ কী এই LHB কোচ? পুরো নাম, লিঙ্ক হফম্যান বুশ কোচ। এই কামরার প্রধান বৈশিষ্ট্য, ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়লে এটি উল্টে যায় না৷ দু’টি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে সাধারণ কামরা সজোরে ছিটকে পড়ে এবং উল্টে যায়। কিন্তু, জার্মান প্রযুক্তিতে তৈরি LHB কামরার ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা নেই বললেই চলে। এর সঙ্গে থাকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি নিউম্যাটিক ব্রেক। যার মাধ্যমে ট্রেন তীব্র গতিতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলেও, আচমকা গতিবেগ কমে যাওয়াকে অনেকটাই সামাল দেওয়া যায়। কিন্তু, দুর্ঘটনাগ্রস্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের কামরা LHB না হওয়ায় পরিণতিও হল মর্মান্তিক। ২০১৭ সালে রেলমন্ত্রক জানিয়েছিল, দেশের সমস্ত ট্রেনে LHB কামরা লাগানো হবে। তাই চেন্নাইয়ের ‘ইন্ট্রিগ্রাল কোচ ফ্যাকট্রি’তে শুধুমাত্র LHB কামরা তৈরি করা হবে। কিন্তু ৭ বছর পরও দেশের সমস্ত ট্রেন LHB কামরা পায়নি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা তার উদাহরণ।
কাঞ্চনজঙ্ঘা আগে চলত শিয়ালদা-নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে। পরে ত্রিপুরার আগরতলা এবং রবিবার থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে সাব্রুম পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ ৪টি রাজ্য়ের মধ্য়ে দিয়ে প্রায় ১ হাজার ৫৫৯ কিলোমিটার পথ প্রায় ৩৬-৩৭ ঘণ্টায় অতিক্রম করে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। তাহলে এত দীর্ঘপথ পাড়ি দেয় যে ট্রেন তা এখনও কেন ICF কোচ নিয়ে চলছিল? ফাঁসিদেওয়ার দুর্ঘটনার জন্য প্রাথমিকভাবে মালগাড়ির চালক অর্থাৎ লোকো পাইলটকে দায়ী করছে রেল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।