Kanchanjungha Express: রেল দুর্ঘটনা হলেই বারবার ওঠে 'কবচ' না-থাকার প্রসঙ্গ ! কী এই 'কবচ' ? কাজ করেনি, নাকি ছিলই না?
Railway Kavach System : গত বছরে বাহানাগা বাজারে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের রেল দুর্ঘটনার ( Kanchenjungha Express Accident ) ক্ষত এখনও টাটকা। ফের একবার প্রশ্নের মুখে রেলের নিরাপত্তা। ফের একবার প্রশ্ন রেলওয়ে কবচ নিয়ে।
কলকাতা : সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বৃষ্টি বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে ঘটে গেল মালগাড়ি ও যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ। ফাঁসিদেওয়ায় শিয়ালদামুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ( Kanchenjungha Express ) পিছনে মালগাড়ির ধাক্কা লেগে । আর তার জেরে এই কপি পাবলিশ হওয়া পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে (সংবাদ সংস্থা PTI সূত্রে খবর)। আহত আন্তত ৬০ জন। যদিও রেলের দাবি, ৩ রেলকর্মী ও ৫ যাত্রী-সহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছরে বাহানাগা বাজারে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের রেল দুর্ঘটনার ( Kanchenjungha Express Accident ) ক্ষত এখনও টাটকা। ফের একবার প্রশ্নের মুখে রেলের নিরাপত্তা। ফের একবার প্রশ্ন রেলওয়ে কবচ নিয়ে। কীভাবে একই লাইনে চলে এল মালগাড়ি? সামনে ট্রেন থাকা সত্ত্বেও কেন ব্রেক কষলেন না মালগাড়ির চালক? নাকি ব্রেক কষলেও, ট্রেন থামাতে পারেননি তিনি?
রেল সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মানুষের ভুলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। রেল বোর্ডের CEO ও চেয়ারপার্সন জয়া বর্মা সিন্হা জানালেন, গাড়ির চালকই সিগন্যাল মানেননি। তার জেরেই ঘটে গেল এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। তাতে তাঁরও মৃত্যু হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ডও।
মালগাড়িতে ছিল না কবচ,সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন জয়া বর্মা সিন্হা। পাশাপাশি, রেলের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে ৩ হাজার কিলোমিটার রেলপথে কবচ লাগানো হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত দেড় হাজার কিলোমিটার রেলপথে কবচ আছে। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ - দিল্লি রুটে কবচ লাগানোর ব্যবস্থা হবে বলে জানা গিয়েছে।
কী এই ‘কবচ’?
এটি হল ACD অর্থাত্ অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস, যার মাধ্যমে এক লাইনে দু’টি ট্রেনের সংঘর্ষ এড়ানো যায়। রেডিও কমিউনিকেশন, মাইক্রোপ্রসেসর এবং গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা GPS প্রযুক্তির ভিত্তিতে কাজ করে 'কবচ'।তিনটি অংশে বিভক্ত এই যন্ত্রটির প্রধান অংশ অন্য অংশটিকে জানান দেয় সেই লাইনে অন্য কোনও ট্রেন সেই মুহূর্তে আছে কিনা৷ দু’টি ট্রেন একই লাইনে চলে এলে এবং তাদের মধ্যে দূরত্ব কমে এলে ইঞ্জিনে বসানো যন্ত্রের মাধ্যমে সিগন্যাল দিতে থাকে ‘কবচ’। যা চালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তিনি।
এর আগে করমণ্ডল রেল দুর্ঘটনার সময়ও এই কবচ-সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রশ্ন তুলেছিলেন একদা রেলমন্ত্রী, অধুনা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনার পরদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন রেলমন্ত্রী বলেন, 'কবচ' প্রযুক্তি থাকলে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। পাল্টা যুক্তি দেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ২০১৪-র আগে অবধি যারা রেল মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন, তারা কি করেছিলেন?
আরও পড়ুন :