![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
KIFF 2022: কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে অরিজিৎ সিংহের 'রং দে তু মোহে গেরুয়া' গানে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি
Controversy: যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অরিজিৎ সিংহকে গান গাইতে অনুরোধ করেন, অরিজিৎ সিংহ তখন গেয়ে ওঠেন, 'রং দে তু মোহে গেরুয়া।' আর সেই নিয়েই রীতিমতো তর্ক বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে
![KIFF 2022: কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে অরিজিৎ সিংহের 'রং দে তু মোহে গেরুয়া' গানে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি KIFF 2022: controversy created in politics over arijit singh's rang de tu mohe gerua song at kiff 2022, know in details KIFF 2022: কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে অরিজিৎ সিংহের 'রং দে তু মোহে গেরুয়া' গানে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/12/16/83b92efec2dffa02088cce434a19d3601671203009580214_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (KIFF 2022) অরিজিৎ সিংহের (Arijit Singh) গান গাওয়া নিয়ে এবং তাঁর গান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল রাজ্য রাজনীতিতে। যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অরিজিৎ সিংহকে গান গাইতে অনুরোধ করেন, অরিজিৎ সিংহ তখন গেয়ে ওঠেন, 'রং দে তু মোহে গেরুয়া।' (Rang De Tu Mohe Gerua) আর সেই নিয়েই রীতিমতো তর্ক বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সুকান্ত মজুমদার সেই প্রসঙ্গে বলেন, 'অরিজিৎ সিংহের গান মুখ্যমন্ত্রীর কেমন লেগেছে, সেটা উনিই বলতে পারবেন। আমাদের তো যথেষ্ট ভালো লেগেছে। রাজ্যের ভবিষ্যতও গেরুয়া'। অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদারের পাল্টা বলেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। তিনি বলেন, 'গান গানই। এটা বুঝতে হবে। প্রত্যেকটা মানুষ তাঁর নিজের মানসিকতা, তাঁর নিজের দূরদর্শিতা, তাঁর পছন্দ, তাঁর ক্লাস, সবমিলিয়ে এক একটা গানকে এক একরকম ভাবে ভাবতে পারে। সেটা তাদের উপর ছেড়ে দেওয়াই ভালো। শাহরুখ খান 'রং দে তু মোহে গেরুয়া' গাইছেন। তখন তো বিতর্ক তৈরি হয়নি। আমি তো বলব এটা দুর্দান্ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ব্যাপার যে, শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan) 'রং দে তু মোহে গেরুয়া' গাইছেন। তখন তো এর মধ্যে রাজনীতি আসেনি। এখন আসছে কেন? সুকান্ত মজুমদারের কাজই হল সবকিছু নিয়ে রাজনীতি করা। '
'রং দে তু মোহে গেরুয়া' প্রসঙ্গে কী বলছেন রুদ্রনীল ঘোষ?
এই গানটি করার জন্য নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডল থেকে অরিজিৎ সিংহের ছবি শেয়ার করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে নাকি ছবি সরিয়েও দিয়েছেন তিনি। এমনটাই অভিযোগ করলেন রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। তিনি বলছেন, 'এই গানের মধ্যে মধ্যে তো কোনও অসুবিধা নেই। এবং সেই কারণেই দেখলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডল থেকে যে যে ছবি শেয়ার করেছেন সেখানে অরিজিৎ সিংহ, যিনি দেশের গর্ব, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব। আমাদের মুর্শিদাবাদের গর্ব অরিজিৎ সিংহের ছবিটা বাদ চলে গেল। রাজনৈতিক হিংসা, রাজনৈতিকবাবে মানুষকে আটকে দেওয়া আমার মতের সঙ্গে না মিললেই এটার প্রমাণ দেখল সবাই। আমার মনে হয় পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বুঝতে পারছেন আসলে তিনি শিল্পীদের পক্ষে নাকি ভোট চাইবার জন্য শিল্পীদের রাজনৈতিক মঞ্চে তুলে মানুষ ঠকাবার পক্ষে। স্পষ্ট।'
আরও পড়ুন - Drishyam 2: প্রেক্ষাগৃহে বিপর্যয় ঘটাচ্ছে 'দৃশ্যম ২', এক মাসে কত হল ব্যবসা?
গান বিতর্কে আবার মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, 'আমার কাছে খুব ভালো সাইক্রিয়াটিস্ট আছেন। ওরা একটু সাইক্রিয়াটিস্টকে দেখান। ওদের সভাপতি কী বলছে, মানে এখনই দিলীপ ঘোষের কাছে যান, দেখুন তিনি অন্য কথা বলছেন। আবার শুভেন্দু অন্য কথা বলছে। 'রং দে তু মোহে গেরুয়া' গাইতে বললে এর মধ্যে অন্যায় কী আছে? আমরা যে গেরুয়া মানে গৈরিক, গৈরিক বন্দনা করি না? স্বামী বিবেকানন্দ গেরুয়া পরে দাঁড়িয়ে নেই? উনি কি বলছেন বিজেপিকে ভোট দাও? শুভেন্দুকে সমর্থন করো? এসব করে লাভ নেই। গায়ের জোরে তুমি গুণ্ডামি করতে পারো। সূর্যের রং বিজেপি দেখে আসে না। সারা পৃথিবীকে গেরুয়া করে দিয়ে আসে। সোনালি আর গেরুয়ার মিশ্রণে। ওই জন্য আমি থাকলে বলতাম, 'রং দে গেরুয়া'র সঙ্গে আর একটু 'রং দে বসন্তীটা জুড়ে দেওয়া যাক।''
প্রসঙ্গত, কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠান হয়ে গেল সদ্য়ই। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বসেছিল চাঁদের হাট। অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন, শাহরুখ খান, রানি মুখোপাধ্যায়, মহেশ ভট্ট, কুমার শানু থেকে অরিজিৎ সিংহ, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই অরিজিৎ সিংহকে একটি গান গাওয়ার অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মঞ্চে রয়েছেন কিং খান। সেখানে অরিজিৎও গাইলেন এক লাইন 'রং দে তু মোহে গেরুয়া'।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)