Kolkata Municipal Corporation: ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতন করতে উদ্যোগ, প্লাস্টিক দূষণ রুখতে নয়া ভাবনা কলকাতা পুরসভার
Plastic Bag:গত পয়লা জুলাই থেকে দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে ৭৫ মাইক্রনের নিচে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক। শহরের বাজারে এই নিষেধজ্ঞা কতটা মানা হচ্ছে?তা দেখতে NCC-র সিনিয়র উইংয়ের ক্যাডেটদের কাজে লাগাবে পুরসভা।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: প্লাস্টিক দূষণ রুখতে নতুন ভাবনা কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation)। মেয়র জানিয়েছেন, এবার থেকে শহরের বিভিন্ন বাজারে এনসিসি-র (NCC) সিনিয়র উইংয়ের ক্যাডেটদের পাঠানো হবে। তাঁরাই সচেতন করবেন ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
প্লাস্টিক দূষণ রুখতে নয়া উদ্যোগ: গত পয়লা জুলাই থেকে দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে ৭৫ মাইক্রনের নিচে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক (Plastic)। কিন্তু শহরের বাজারে এই নিষেধজ্ঞা কতটা মানা হচ্ছে? তা দেখতে NCC-র সিনিয়র উইংয়ের ক্যাডেটদের কাজে লাগাবে পুরসভা। মেয়র জানিয়েছেন, ক্যাডেটরা বিভিন্ন বাজারে গিয়ে প্লাস্টিকের কুফল নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতন করবেন। কার্যত মেয়রের ঘরের দুয়ারেই চেতলা CIT বাজার। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ সেই বাজারেই যান মেয়র। তাঁর সঙ্গে ছিলেন NCC-র আধিকারিকরা। মেয়র জানান, এবার প্লাস্টিক নিয়ে সচেতনতা প্রচারে এনসিসি-র ক্যাডেটদের ব্যবহার করবে পুরসভা।
কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এই প্লাস্টিক নিকাশির সমস্যাও তৈরি করে। আমরা ঠিক করেছি, শহরের বিভিন্ন বাজারে এনসিসি কে পাঠাব। তাঁরা এ নিয়ে সচেতন কবেন।’’ অ্যাসোসিয়েট এনসিসি অফিসার বিভা সমাদ্দার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “প্রয়োজনে জরিমানা করা হবে।’’ বাজারে বেরিয়ে অনেকের হাতে কাপড়ের ব্যাগ তুলে দেন মেয়র। এমনকী মাইক নিয়ে প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে প্রচারও করেন। কলকাতা পুরসভার উদ্যোগী হওয়া সত্ত্বেও প্লাস্টিক নিয়ে শহরবাসীর সচেতনতা ফিরবে কবে? কবে শহর প্লাস্টিক দূষণের হাত থেকে মুক্তি পাবে, সেটাই বড় প্রশ্ন।
অন্যদিকে, ৫ হাজার বর্গ মিটারের বেশি আয়তন সম্পন্ন আবাসনগুলি থেকে আর পচনশীল বর্জ্য সংগ্রহ করবে না কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। বড় আবাসনগুলিকে নিজেদেরই পচনশীল বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। আবাসন এলাকায় বসাতে হবে জৈব বর্জ্য কনভার্টার। পচনশীল বর্জ্য থেকে তৈরি করতে হবে জৈব সার। এমনই সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা (KMC)।
আরও পড়ুন: School Close: পড়ুয়ার সংখ্যা মাত্র ২! বন্ধের মুখে আরামবাগের স্কুল