Kolkata: সিআরপিএফ পরিচয়ে চিকিৎসককে টোপ, অ্যাকাউন্ট থেকে সাফ লক্ষাধিক টাকা
Fraud Case: গোটা ঘটনাটি জানিয়ে টেকনো সিটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন চিকিৎসক।
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: খাস কলকাতার বুকে এক চিকিৎসককে প্রতারণার অভিযোগ। সিআরপিএফ আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ওই চিকিৎসককে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, জওয়ানদের মেডিক্যাল টেস্টের জন্য মোটা টাকা টোপ দেওয়ার টোপ দিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে হাতানো হয়েছে লক্ষাধিক টাকা। গোটা ঘটনাটি জানিয়ে টেকনো সিটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন চিকিৎসক।
কীভাবে টোপ?
সিআরপিএফ 5(CRPF) জওয়ানদের মেডিক্যাল টেস্ট হবে। এর জন্য দেওয়া হবে ৫৫ হাজার টাকা। বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে সিআরপিএফ-এর আইকার্ডের ছবিও পাঠানো হয়। নিউটাউনের বাসিন্দা শিলাদিত্য গঙ্গোপাধ্যায় পেশায় চিকিৎসক। তাঁকেই প্রতারিত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, সম্প্রতি, একজন নিজেকে সিআরপিএফের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ফোন করে বলেন, যে তিনি ৯৮ নম্বর সিআরপিএফ ব্যাটালিয়নে কর্মরত। ওই ব্যক্তি জানান, কলকাতা থেকে ৫৫ জন জওয়ান অন্যত্র চলে যাচ্ছেন, তাঁদের মেডিক্যাল টেস্টের প্রয়োজন। মেডিক্যাল টেস্ট বাবদ জওয়ান প্রতি ১০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা বলা হয়। কাজের অগ্রিম হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে চিকিৎসকের অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়। চিকিৎসকের অভিযোগ, ব্যাঙ্ক ডিটেলস দিতেই তার অ্যাকাউন্ট থেকে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। বিষয়টি বুঝতে পেরেই টেকনো সিটি থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ, এখানেই শেষ নয়, এরপরেও চিকিৎসকের কাছে একই রকম ফোন আসে।
কিন্তু, কীভাবে হচ্ছে এই অভিনব কায়দায় প্রতারণা? তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মণিদীপ ভট্টাচার্য বলেন, 'প্রথমে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা হয়। তারপর নানা ভাবে ভুল বুঝিয়ে প্রতারণা করা হয়।'
বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রে খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
প্রতারণা থেকে বাঁচতে একাধিক সতর্কতামূলক প্রচার চালায় ব্যাঙ্ক। তার জন্য টু ফ্যাক্টর অথেন্টিফিকেশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। আর্থিক প্রতারণা রুখতে সাহায্য করে এই মডেল। অনেকক্ষেত্রেই ওটিপি শেয়ার করার ফলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লোপাট হয়ে যায়। সেই কারণেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কোনও অচেনা উৎস থেকে লিঙ্ক বা কিউআর কোড পাঠানো হলে তা ব্যবহার না করাই উচিত। কোনও ব্যাঙ্ক বা ই-কমার্স সংস্থার থেকে ফোন করে ওটিপি চাওয়া হলেও তা এড়িয়ে যাওয়ার উচিত। কারণ সাধারণত, কোনও ব্যাঙ্ক বা অন্য কোনও সংস্থা থেকে কখনও ফোন করে ওটিপি চাওয়া হয় না।
আরও পড়ুন: সমীক্ষা ছাড়াই তৈরি তালিকা, আবাস যোজনার প্রকল্প নিয়ে তুঙ্গে তরজা