TMC : নাট্য উৎসবে বাধা, গালিগালাজ ও হেনস্থার অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে
Kolkata News : বিদূষক নাট্যমণ্ডলী, পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমি অনুমোদিত এবং সরকারি সহায়তাও পায়। প্রশ্ন উঠছে, এরকম একটি নাট্য সংস্থার উৎসবে কেন হস্তক্ষেপ করা হবে?

সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা : বেলেঘাটায় নাট্য উৎসবে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। অভিনেতা অমিত সাহাকে গালিগালাজ ও হেনস্থারও অভিযোগ উঠেছে। যদিও পুরোটাই অস্বীকার করেছেন শাসকদলের কাউন্সিলর।
বেলেঘাটার রাসমেলা ময়দানেই শনিবার থেকে দু-দিনের নাট্য উৎসব হওয়ার কথা ছিল। আয়োজক পূর্ব কলকাতা বিদূষক নাট্যমণ্ডলী। যার সভাপতি পদে রয়েছেন 'বিরোহী', 'উলটপুরাণে'র মতো ওয়েব সিরিজ ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমা 'বাকিটা ব্যক্তিগত'য় অভিনয় করা অমিত সাহা। কিন্তু দুদিনের এই নাট্য উৎসবের সিংহভাগ প্রস্তুতি হয়ে যাওয়ার পরও, তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, কলকাতা পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অলকানন্দা দাস ও তাঁর বাবা এলাকার তৃণমূল নেতা অলোক দাসের বিরুদ্ধে।
শনি ও রবিবার মিলিয়ে ৪টি নাট্যদলের ৫ নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার কথা ছিল। উদ্যোক্তাদের দাবি, রাসমেলা মাঠ কর্তৃপক্ষের থেকে অনুমতি নেওয়া ছাড়াও বেলেঘাটা থানায় লিখিতভাবে নাট্য উৎসবের কথা জানানো হয়। একইসময় বেলেঘাটা মেন রোডে একটি কেক উৎসবও ছিল। সেখানে মাইক ব্যবহার করা হলে, নাটক মঞ্চস্থ করার সময় অসুবিধা হতে পারে। উদ্যোক্তাদের দাবি, এ নিয়ে কথা বলতে শুক্রবার সকালে স্থানীয় কাউন্সিলরের দ্বারস্থ হন অমিত সাহা। তখনই খবর আসে, জোর করে নাট্য উৎসবের মঞ্চ তৈরির কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি সেখানে যান, অমিত ও তাঁর সহকর্মীরা। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হয় তাঁদের।
বিদূষক নাট্যমণ্ডলীর সভাপতি ও অভিনেতা অমিত সাহার অভিযোগ, 'গাড়ি থেকে নামতে জিজ্ঞাসাবা করে, বাড়ি কোথায়। বলি কাদাপাড়া। বলে সেখানে গিয়ে উৎসব করো। ধাক্কা দিতে থাকে, ফ্লেক্স ছিড়ে দেয়'। ফেসবুক লাইভ করে ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন অভিনেতা অমিত সাহা।
যদিও ঘটনার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর। কলকাতা পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অলোকানন্দা দাস বলেছেন, 'ঘটনার কথা জানি না। অলোক দাস এরকম ঘটনা ঘটাতে পারে না। ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত, এরকম কিছু করেনি।'
স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের বাবা, এলাকার তৃণমূল নেতা অলোক দাসও জানিয়েছেন, তাঁরা কোনও উৎসবে বাধা দেন না। এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। পাশাপাশি ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে বলেও আশঙ্কাপ্রকাশ করেন তিনি। তবে ভিন্ন দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কাউন্সিলর ও অলোক দাস এসে কাজ বন্ধ করে দেন বলেই তাঁদেরও অভিযোগ।
বিদূষক নাট্যমণ্ডলী, পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমি অনুমোদিত এবং সরকারি সহায়তাও পায়। প্রশ্ন উঠছে, এরকম একটি নাট্য সংস্থার উৎসবে কেন হস্তক্ষেপ করা হবে? এ বিষয়ে এখনও বেলেঘাটা থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। আপাতত নাট্য উৎসব স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
আরও পড়ুন- বড়দিনেও কি বজায় থাকবে শীতের আমেজ ? কী ইঙ্গিত হাওয়া অফিসের ?





















