Kolkata: ট্রাফিক বিধি ভাঙার জরিমানা বাড়ল কয়েক গুণ, বিরোধিতায় সরব বাস-মিনিবাস-ক্যাব সংগঠন
Kolkata News: গাড়ি নিয়ে রেষারেষি করলে তার জারিমানা ধার্য করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা। আগে তা ছিল ৫০০ টাকা। সিট বেল্ট না পরলে জরিমানা আগে ছিল ১০০ টাকা, নতুন নির্দেশিকায় একে বাড়িয়ে করা হয়েছে এক হাজার টাকা।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: রাজ্য সরকার ট্রাফিক বিধি ভাঙার জরিমানা এক লাফে কয়েক গুণ বাড়াতেই বিরোধিতায় সরব হল একাধিক, বাস, মিনিবাস ও ক্যাব সংগঠন। বর্ধিত ফাইন প্রত্যাহারের দাবিতে আজ রাসবিহারী মোড়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখায় গণ পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত ৬টি সংগঠন। পরিবহণ দফতরে ডেপুটেশনও জমা দেয় তারা।
ট্রাফিক বিধি ভঙ্গে জরিমানার অঙ্ক বাড়তেই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সরব হল গণ পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত একাধিক সংগঠন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রাসবিহারী মোড় এলাকায় প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান বাস, মিনিবাস ও ক্যাবের ৬টি সংগঠনের সদস্যরা। বেপরোয়া ড্রাইভিং, পথদুর্ঘটনা ও প্রাণহানিতে রাশ টানতে 'মোটর ভেহিকলস' আইন সংশোধন করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জরিমানার অঙ্ক বাড়িয়েছে পরিবহণ দফতর।
ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস সার্টিফিকেট, পারমিট এবং বিমা, বৈধ নথি ছাড়া গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামলে আগে জরিমানা ছিল ৫০০ টাকা। বর্তমান নির্দেশিকায় সেই অঙ্কের পরিমাণ একই রাখা হলেও, বাড়ানো হয়েছে দ্বিতীয়বার আইন ভাঙার জরিমানা। আগে যা ছিল ৫০০ টাকা, এখন তাকে বাড়িয়ে করা হয়েছে দেড় হাজার টাকা।
গাড়ি নিয়ে রেষারেষি করলে তার জারিমানা ধার্য করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা। আগে তা ছিল ৫০০ টাকা। সিট বেল্ট না পরে গাড়ি চালানোর জরিমানা আগে ছিল ১০০ টাকা, নতুন নির্দেশিকায় একে বাড়িয়ে করা হয়েছে এক হাজার টাকা। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালালে ফাইন ৫ হাজার টাকা। আগে এই অপরাধে ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে ফাইনের অঙ্ক ছিল ৪০০ টাকা। আর বড় গাড়ির ক্ষেত্রে ফাইন ধার্য ছিল ১ হাজার টাকা। এখন দুটো ক্ষেত্রেই তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা।
পরিবহণ মন্ত্রী ও মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কথায়, 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ স্লোগানে থাকবে। আমি চাইনা ফাইন থেকে টাকা আসুক। আমি চাই দুর্ঘটনা না ঘটুক। সব ঠিকঠাক চলুক।'
বুধবার, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন থেকে কার্যকর হয়েছে নতুন নিয়ম। পথসুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে কড়াকড়ি বাড়িয়েছে পুলিশ। তার পরের দিনই বর্ধিত জরিমানা প্রত্যাহারের দাবিতে পথে নামলেন গণ পরিবহণ সংগঠনের সদস্যরা।
অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'করোনার কারণে লকডাউনে এমনিতেই ব্যবসার প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এরপর পুলিশের দাপট বাড়বে। আমাদের ক্ষতিও বাড়বে।'
আরও পড়ুন: Kolkata: গরু পাচার কাণ্ডে তৎপর বিএসএফ, অভিযুক্ত কর্মী-আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত
সিটি সাবআর্বান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটো সাহার কথায়, 'নতুন নিয়মে ক্ষতির শিকার আমাদের হতে হবে।'
৬ পরিবহণ সংগঠনের সদস্যরা এদিন আর এন মুখার্জি রোডে পরিবহণ ভবনে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেন।