Haridevpur News: বিমান সেবিকা না হতে পেরে অবসাদ, হরিদেবপুরে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী ১৭-র কিশোরী
Kolkata News: হরিদেবপুরের কল্যাণনগরের ঘটনা (Kolkata News)। বাড়িতেই তরুণী আত্মঘাতী হন বলে জানা গিয়েছে।
আবীর দত্ত, হরিদেবপুর: অর্থের অভাবে বিমান সেবিকা হতে না পারার দুঃখ। সেই থেকেই অবসাদ (Depression) আর তার জেরে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা। হরিদেবপুরে (Haridevpur Teen Suicide) ১৭ বছরের কিশোরীর মৃত্যুতে এমনই দাবি করল পরিবার। সপ্তাহ খানেক আগেই মাকে ভিডিও কল করে ওই কিশোরী আত্মঘাতী (Suicide) হতে যান বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার ফের ঘুমের ওষুধ খান বলে দাবি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার।
বিমানসেবিকা না হতে পারার দুঃখে আত্মঘাতী!
হরিদেবপুরের কল্যাণনগরের ঘটনা (Kolkata News)। বাড়িতেই তরুণী আত্মঘাতী হন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। মেয়েটির নাম মামন দাস বলে জনা গিয়েছে। ঘরের মধ্য়ে তিনি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
মেয়েটির মা জানিয়েছেন, গত রবিবার তাঁকে ভিডিও কল করে প্রথমে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে মামন। সেই যাত্রায় কোনও ভাবে বাঁচানো যায় তাকে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফেরার পর শুক্রবার ফের ঘুমের ওষুধ খায় সে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: Kolkata News: শহরে ফের উঠতি মডেলের রহস্যমৃত্যু, বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বিমানসেবিকা হতে চান বলে বাড়িতে জানিয়েছিল মামন। সেই মতো কোর্সে ভর্তিও করা হয় তাকে। কিন্তু খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন সকলে। তাতেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে মামন। গত রবিবার প্রথম ভিডিও কল করে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে সে। তিন-চারপাতা ওষুধ, জল নিয়ে ভিডিও কল করে। রাস্তা থেকে সে বার উদ্ধার করা হয় তাকে। এর পর শুক্রবার ফের ঘুমের ওষুধ খায়। কিন্তু এ বার আর শেষরক্ষা হল না।
এক সপ্তাহ আগেও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে ওই কিশোরী
মেয়েটির মা বলেন, "বিমান সেবিকা হতে চেয়েছিল মেয়ে। স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার পরই আমার মেয়ের মন ভেঙে যায়। অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। আমার অভাবের সংসার। কিছু করতে পারলাম না। আগের বার উদ্ধার করতে পেরেছিলাম। হাসপাতালেও এক বেডে তিন জন, থাকতে পারেনি। স্যালাইন খুলে চলে এসেছিল। তার পরই এই ঘটনা।" পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।