Kolkata Metro: 'সঙ্গী না আসায় পা দিয়ে মেট্রোর দরজা আটকে রাখেন তরুণী..', তারপর যা হল ! বিপত্তি এই অংশে
Kolkata Metro Service: মেট্রোয় বিপত্তি, বিমানবন্দর-নোয়াপাড়ার মাঝে দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে গন্ডোগোল

অরিত্রিক ভট্টাচার্য,কলকাতা: আসতে দেরি হওয়ায় গেটে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে তরুণী, মেট্রোয় বিপত্তি। বেশ কিছুক্ষণ গেটে দাঁড়িয়ে থাকায় বন্ধই হল না মেট্রোর দরজা। গেট বিকল হয়ে মেট্রোর স্বয়ংক্রিয় দরজা বন্ধে সমস্যা। বিমানবন্দর-নোয়াপাড়ার মাঝে দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে বিপত্তি তৈরি হয়েছে।দরজা বন্ধ না হওয়ায় আসেন মোটরম্যান ও ইঞ্জিনিয়াররা । দীর্ঘক্ষণ ধরে মেরামতির পর গেট বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।তরুণীকে তিরস্কার মেট্রোর আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের। ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ । সঙ্গী না আসায় পা দিয়ে দরজা আটকে রাখেন তরুণী, দাবি মেট্রো কর্তৃপক্ষের।
আরও পড়ুন, পুলিশের সামনেই কীভাবে যুবভারতীতে বিশৃঙ্খলা ? আজ সরেজমিন খতিয়ে দেখতে যেতে পারে তদন্ত কমিটি
সঙ্গীর জন্য মেট্রোর গেট আটকে তরুণী! তার জেরে মেট্রোর গেট বন্ধ হল না! নির্ধারিত সময়ে রওনা হতে পারল না মেট্রো। এমনই আজব কাণ্ড ঘটেছে কলকাতা বিমানবন্দর ও নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনের মাঝে দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে। মেট্রোর সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ঘটনার ভিডিও। নিজে উঠে পড়েছেন মেট্রোতে, অথচ এসে পৌঁছননি সঙ্গী!সেই কারণে এইভাবে জবরদস্তি আটকে রাখলেন মেট্রোর স্লাইডিং ডোর! মেট্রোর ছেড়ে দেওয়া আটকাতে প্রথমে গেটের চৌকাঠে হাতের ব্যাগটি রাখেন তরুণী। তারপরেও সঙ্গী না আসায়, মেট্রোর গেটের সামনে দিয়ে রাখলেন পা!
এখানেই শেষ নয়। নির্ধারিত সময়ে মেট্রোর দরজা বন্ধ হওয়ার উপক্রম করতেই হাত ও শরীরের কিছুটা অংশ দিয়ে প্রাণপণে চেপে স্লাইডিং ডোরটিকে ঢুকিয়ে দিলেন ভিতরে!শনিবার কার্যত এমনই মগের মুলুকের ছবি দেখা গেল কলকাতা বিমানবন্দর ও নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনের মাঝে দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে। আর যার জেরে নির্ধারিত সময়ে রওনা হতে পারল না ইয়েলো লাইনের মেট্রো! ভোগান্তির শিকার হলেন মেট্রো রেলের অন্য যাত্রীরা। কেন এমন আজব কাণ্ড ঘটালেন অভিযুক্ত তরুণী?
মেট্রো সূত্রে খবর, তরুণী সময়মতো দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছে গেলেও, তাঁর সঙ্গী তখনও পৌঁছননি। মেট্রোর ছেড়ে দেওয়া আটকাতে ওই সব কীর্তি করেন তিনি। এরপর তরুণীর সঙ্গী পৌঁছলেও, দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে দেওয়ায়, মেট্রোর গেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে আর বন্ধ হয়নি। শেষ পর্যন্ত মোটরম্যান ও ইঞ্জিনিয়াররা মেরামতি করে স্লাইডিং ডোর বন্ধ করতে পারেন। মেট্রো সূত্রে খবর, সেই সময় তরুণীকে তিরস্কার করে রেহাই দেওয়া হলেও, পরে নজিরবিহীন এই ঘটনার জন্য মেট্রো RPF-এ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে।প্রশ্ন হল, গণপরিবহণকে ব্যক্তিগত গাড়ির মতো ব্যবহার করার সাহস কোথা থেকে পেলেন ওই তরুণী? তাঁর দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণের জন্য যেভাবে অন্য মেট্রোযাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হলেন তার দায় কার? প্রশ্ন উঠেছে।






















