(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Kolkata News: মহিলার সম্মানহানিতে দোষী সাব্য়স্ত, চিকিৎসকের সাজা ঘোষণা আদালতের
West Bengal News: শিশুকন্য়ার চিকিৎসা করাতে গিয়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সম্মানহানির অভিযোগ তুলেছিলেন মা।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: মহিলার সম্মানহানিতে দোষী সাব্য়স্ত এক চিকিৎসককে ২ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আলিপুর আদালত (Alipur Court)। ঘটনার প্রায় ১৪ বছর পর এই মামলায় বুধবার রায় দিল আদালত। আদালতের রায়ে বলা হয় অভিযোগকারিণীকে ১ লক্ষ টাকা দিতে হবে দোষী সাব্য়স্ত চিকিৎসককে। পাশাপাশি ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
দোষী সাব্য়স্ত এক চিকিৎসক: শিশুকন্য়ার চিকিৎসা করাতে গিয়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সম্মানহানির অভিযোগ তুলেছিলেন মা। সেই ঘটনার তেরো বছর পর অবশেষে, মঙ্গলবার চিকিৎসককে ২ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত। আর এই রায় প্রসঙ্গেই বিচারক শৌভিক দে মনে করিয়ে দিলেন চিকিৎসকের ধর্মের কথা। তিনি বলেন, “মধ্যযুগীয় ইউরোপে চিকিৎসাবিদ্যা সংক্রান্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত থাকত। শপথ নিয়ে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করতেন যে, ব্যক্তিগত সম্পত্তি বৃদ্ধি করার থেকে মানুষের সুস্থতার দিকে তাঁরা নিজেকে বেশি করে নিয়োজিত করবেন। এই কারণেই মানুষ তাঁদের ঈশ্বরের সমতুল্য মনে করতেন। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, জীবনে বিভিন্ন প্রতিকূলতা আসে। কিন্তু সেই প্রতিকূলতার মধ্যে যদি রক্ষকই ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে তাহলে বিপর্যয় আরও বাড়ে।’’
এরপরই এদিন আলিপুর আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শৌভিক দে তাঁর রায়ে বলেন, অভিযোগকারিণীকে ১ লক্ষ টাকা দিতে হবে চিকিৎসককে। যদি তা না দেওয়া হয়, তবে আরও ৩ মাস কারাদণ্ডের সাজা হবে। পাশাপাশি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলকে দোষী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। দোষী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকেও।
২০১০ সালে ডিসেম্বর মাসে অটো দুর্ঘটনায় আহত শিশুকন্য়াকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করেন এক মহিলা। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয় শিশুকে। মেয়ের জন্য় থাকতে হয় তাঁকেও। সেই সময় মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ, জোর করে বিবস্ত্র করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে কর্মরত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ২০১০ সালেই ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা। ২০১১ সালের ৪ মার্চ তাঁকে গ্রেফতার করা হলে ১৪ দিন পরই জামিন পেয়ে যান অভিযুক্ত চিকিৎসক। মাঝে কেটে গিয়েছে এক দশকেরও বেশি সময়। মঙ্গলবার সেই মামলায় সাজা ঘোষণা করে আলিপুর আদালত।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।