SSC Scam: বাঁশদ্রোণীতে প্রাক্তন চেয়ারম্যানের ফ্ল্যাট এবার সিল করল সিবিআই
CBI Raid on SSC Former Chairman: নিয়োগে দুর্নীতিতে এবার এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের ফ্ল্যাট সিল । বাঁশদ্রোণীতে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের ফ্ল্যাট সিল করল সিবিআই।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, সনৎ ঝা এবং হিন্দোল দে, কলকাতা: নিয়োগে দুর্নীতিতে (SSC Scam) এবার এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের ফ্ল্যাট সিল (SSC Former Chairman)। বাঁশদ্রোণীতে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের ফ্ল্যাট সিল করল সিবিআই (CBI)। ফ্ল্যাটের বাইরে রাখা একটা আলমারি এবং ছাদের স্টোররুমও সিল করে দেওয়া হয়। শিলিগুড়িতে (Siliguri) এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতেও সিবিআই। ১০ জনের সিবিআই প্রতিনিধি দল প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতে। এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (North Bengal University) সুবীরেশ ভট্টাচার্য। বাগ কমিটির রিপোর্টে নাম ছিল এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের।
উল্লেখ্য, স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও প্রাক্তন সচিব অশোক সাহাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এবার তদন্তকারীদের রেডারে স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। কমিশনের প্রোগ্রাম অফিসার সমরজিৎ আচার্য জানিয়েছেন, কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তিনি যেন আঞ্চলিক কমিশনের চেয়ারম্যানদের সই সংগ্রহ করে স্ক্যান করেন এবং সেই স্ক্যান করা সই কমিশনের অ্যাপ্লিকেশন সার্ভারে সংরক্ষণ করেন, যাতে পরবর্তীকালে সেই সইগুলো গ্রুপ-D পদের সুপারিশপত্র তৈরির কাজে ব্যবহার করা যায়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সুবীরেশ ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, স্বাক্ষর সংগ্রহ করা এবং স্ক্যান করে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক কমিশনের চেয়ারম্যানরাই নিয়েছিলেন। এবিষয়ে কমিশনের কোনও বোর্ড মিটিং হয়নি।
আরও পড়ুন, বীরভূমের ত্রিসীমানায় যাবেন না, বাড়ি নেবেন নিজাম প্যালেসের পাশে, জানিয়েও জামিন পেলেন না অনুব্রত
প্রসঙ্গত, রাজ্যে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শাসকদলের একের পর এক হেভিওয়েটদের নাম জড়িয়েছে। বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী-সহ তার মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম জড়িয়েছে। চাকরি থেকে অঙ্কিতাকে বরখাস্ত করা হয়েছে,হাইকোর্টের তরফে। এরপর সামনে এসেছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ইস্যু। পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়ি থেকে কয়েক কোটি টাকা, সোনা উদ্ধারের পর গ্রেফতার করা হয়েছে তাকেও। পার্থ গ্রেফতারের পর মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, ‘দুর্নীতিকে সমর্থন করা নেশাও নয় পেশাও নয়, আমি কোনও অন্যায়কে সমর্থন করি না। সত্যি যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হোক’। অনুব্রত গ্রেফতারের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'অনুব্রতকে গ্রেফতার করলেন কেন ? কী করেছিল কেষ্ট ? কেষ্টকে জেলে আটকালে কী হবে ? ওদের এজেন্সির কিছু লোক রয়েছে, তাঁদের টাকা দিয়ে পোষে। মাঝরাতে কেন সিবিআই বাড়িতে ঢুকছে ? কেষ্টর বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়েছে সিবিআই।' এই মুহূর্তে এসএসসি, টেট নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়, আরও কড়া কলকাতা হাইকোর্ট।